প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কিছুদিন আগে সপ্তম শ্রেণীর এক আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল বীরভূম (Birbhum)। শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল স্থানীয়রা। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরও একবার খবরের শিরোনামে উঠল বীরভূমের রামপুরহাট। এবার স্নাতকের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ বীরভূমে
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, বীরভূমের রামপুরহাট এলাকার মল্লারপুর থানার বড়তুড়িগ্রামে এক গৃহশিক্ষকের বাড়িতে টিউশন পড়তে যেত স্নাতকের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম অভিজিৎ পাল। নির্যাতিতাকে নাকি তিনি একাই পড়াতেন। সেই সুযোগে ওই শিক্ষক নাকি ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিতেন। শুধু তাই নয়, তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দিতেন। এসবে বাধা দিলে তাঁকে জোর করে শ্লীলতাহানি করতেনও বলে অভিযোগ উঠে এসেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন এই অত্যাচার চলত। কাউকে না বলার হুমকিও দিতেন অভিযুক্ত শিক্ষক। শেষে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ায় বিষয়টি ছাত্রী তার জামাইবাবুকে জানালে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জামাইবাবু তাঁর বন্ধুদের জানান।
অভিযোগ স্বীকার গৃহশিক্ষকের
গত সোমবার, অভিযুক্ত শিক্ষক অভিজিৎ পালকে বীরভূমের রামপুরহাট নিশ্চিন্তপুরে দেখতে পেয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর জামাইবাবু ও তাঁর বন্ধু-বান্ধবরা ওই শিক্ষককে ধরে উদোম মারধর করেন। এবং নির্যাতিত ছাত্রীর সামনে কান ধরে ওঠবস করানো হয়। শেষে এই অভিযোগ স্বীকার করেন ওই শিক্ষক। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। এই ঘটনা নিয়ে ছাত্রীর জামাইবাবু জানান, তাঁর শ্যালিকা ওই গৃহশিক্ষক বাড়িতে তাঁর শ্যালিকার একা পড়তে যাওয়ার সুযোগ নিয়েছিলেন। দিনের পর দিন নানাভাবে অত্যাচার সহ্য করে আসছিল ছাত্রী। কিন্তু ভয়ের বসে কাউকে কিছু বলতে পারছিল না। শেষে মানসিক চাপ নিতে না পারায় মুখ খুলতে বাধ্য হয় ওই ছাত্রী।
আরও পড়ুন: টাকা চাওয়ার অভিযোগ! বুদবুদে সিভিক ভলান্টিয়ারকে জুতোপেটা ড্রাইভারের
গৃহশিক্ষকের এই কুকীর্তির ঘটনা নিয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর জামাইবাবুর এক বন্ধু বলেন, “আমরা প্রতিদিনই এখানেই বসে থাকি, প্রায় অনেকক্ষণ আড্ডা মারি। এদিন হঠাৎ আমাদের এক বন্ধু এসে জানায় যে এক শিক্ষক ওর শ্যালিকার বুকে হাত দিত, ঠোঁটে হাত দিত। কাউকে না বলার জন্য মেয়েটাকে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিত। কিছুদিন আগে রামপুরহাটে যে মার্ডার কেসটা হল সেটা দেখে মেয়েটা আরও ভয়ে কিছু জানায়নি। এই অভিযোগ শোনার পর আমরা ওকে ধরি। আজ যদি পুলিশ না থাকত তাহলে ও আমাদের মারধরে খুন হয়ে যেত।”