সহেলি মিত্র, কলকাতা: বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) আকস্মিক মৃত্যুতে এখনও অবধি শোকস্তব্ধ সকলে। ইতিমধ্যে তার দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তার পরিবারের উপর দিয়ে কী যাচ্ছে সেটা একমাত্র তারাই বুঝবেন। যাইহোক এসবের মাঝেই সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও (Zubeen Garg Last Video) বিদ্যুতের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে ভিডিওটিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি হলেন জুবিন গর্গ। আর ভিডিওটি যদি সত্যি হয় তাহলে জুবিন গর্গের মৃত্যু যে অত্যন্ত মর্মান্তিকভাবে হয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য।
জুবিন গর্গের শেষ ভিডিও!
একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জুবিন, দাবি করা হয় যে তিনি স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গায়কের একটি নতুন ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। আগের ভিডিওগুলিতে জুবিনকে লাইফ জ্যাকেট পরে ক্রুজ পার্টিতে আনন্দ করতে দেখা গেলেও, এই ক্লিপটিতে তাকে জ্যাকেট ছাড়াই দেখা যাচ্ছে। তাঁকে আবার জলেও ভেসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। একটা সময়ে গিয়ে গায়কের যে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তা বোঝাই যাচ্ছিল।
জলে প্রতিটি বিন্দু নিঃশ্বাসের জন্য গায়কের স্ট্রাগল চোখে দেখা যায় না। সংগ্রামরত এই গায়ককে দেখে তার বন্ধুরা তাকে সাহায্য করতে ছুটে আসেন। সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ভ্রমণের এই ক্লিপটিতে তাকে বন্ধুদের সাথে সাঁতার কাটতে দেখা যাচ্ছে। তবে, তার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে এবং তাকে ক্লান্তও দেখাচ্ছে। ভিডিওতে তাকে একটি রাফট-এর দিকে প্রানপণে সাঁতার কাটতে দেখা যাচ্ছে, যা আবারও ভক্তদের নাড়া দিয়েছে।
ভাইরাল ভিডিও ঘিরে হৈচৈ
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে এবং তাঁর জুড়ে ভক্তরা গায়কের মৃত্যুতে নতুন করে শোক প্রকাশ করছেন। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি Indiahood.in. বেশ কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, জুবিন প্রথমে লাইফ জ্যাকেট পরে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তা খুলে ফিরে আসেন, সাঁতার কাটতে অস্বস্তি বোধ করেন। এরপর তিনি জ্যাকেট ছাড়াই আবার সমুদ্রে ঝাঁপ দেন এবং দ্বিতীয়বার সাঁতার কাটার সময় তিনি কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হন, যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটে।
View this post on Instagram
১৯ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন জুবিন গর্গ
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে কয়েকজন বন্ধু ও সহকর্মীর সাথে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে জুবিন গর্গের মৃত্যু হয়। রবিবার তার মরদেহ গুয়াহাটিতে পৌঁছায়। ২৩ সেপ্টেম্বর শহরের উপকণ্ঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাহ করা হয়।