প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, হাতে বাকি মাত্র আর কয়েকটা মাস। তাই এই কয়েকটা মাসকে কাজে লাগিয়ে এখনই ভোট প্রচারে প্রস্তুতি শুরু করে ফেলেছে শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধীদল গুলিও। জনগণের উদ্দেশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়েও নানা আলোচনা চলছে। আর এই ব্যস্ততার মাঝেই খানাকুল-১ ব্লক (Khanakul) অফিসে শুরু ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। বিডিওর সঙ্গে বেধে গেল জোর দ্বন্দ্ব এলাকার বিজেপি বিধায়কের।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী গতকাল অর্থাৎ বুধবার, আরামবাগ মহকুমার অন্তর্গত খানাকুল-১ ব্লক অফিসে শুরু হয়েছিল এক ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। একদল বিজেপি কর্মী রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে রীতিমত বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন ব্লকের বিডিও অরিন্দম মুখার্জি এবং এলাকার বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। অভিযোগ ওঠে, বৈঠক চলাকালীনই যখন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বৈঠকে ডেকে আনার কথা ওঠে তখনই বিধায়ক সরাসরি বিডিওকে বলেন যে প্রশাসনিক চেয়ারে বসে এলাকার মানুষের জন্য নয় বরং তিনি শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন। এরপরই বিডিও ক্ষেপে যায় এবং রীতিমত গালিগালাজ, তর্কাতর্কি চলতে থাকে।
অভিযোগ অস্বীকার বিডিওর
এদিকে খানাকুল-১ ব্লক অফিসে যখন প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় তখন বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বসেন। আর তখনই বিডিও অরিন্দম মুখার্জি পাল্টা প্রতিবাদ জানায়। তাঁর সাফ কথা “মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে কটূক্তি শুনব না, প্রয়োজনে দপ্তর ছেড়ে দেব। উনি কেবল প্রশাসনিক প্রধান নন, একজন মহিলা।” এছাড়াও বিডিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করেন। এরপরই বিজেপি উল্টে বিডিওকে চটি চাটা বলে কটাক্ষ করে এবং বিডিওর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভে নামেন। বিধায়কের অভিযোগ একজন সরকারি অধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীকে ‘দিদি’ কীভাবে বলতে পারেন? বিধায়কের আরও অভিযোগ, ভোটার তালিকার কাজে নাকি অস্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও বিডিও সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা থেকে আর নাম বাদ দিতে পারবে না কেউ! কড়া ব্যবস্থা কমিশনের
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে খানাকুলে তৃণমূলের মিছিলে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপির দলীয় কার্যকলাপ থেকে এই হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে একেবারে রণক্ষেত্র শুরু হয়ে গিয়েছিল এলাকা জুড়ে। তার কয়েক মাস পরে ফের এই ঘটনা রাজনৈতিক পরিসরে এক বিরাট প্রভাব পড়তে চলেছে।