এতগুলো প্রাণ চলে যাওয়ার দায় কার? রাজ্য, KMC, CESC-র কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

Published on:

Calcutta High Court

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত সোমবার ভোর রাতে টানা পাঁচ ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল গোটা কলকাতা (Kolkata Rain)। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল শহর-শহরতলিতে। এক রাতেই গোটা শহর পুরো জলের তলায় ডুবে গিয়েছিল। তার উপর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০। যার দরুন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। আর সেই মামলায় এবার রাজ্য, কলকাতা পুরসভা ও CESC-র কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট।

রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মামলাটি হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। সেই মামলায় বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা নিয়ে শীঘ্রই বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা পুরসভাকেও। এছাড়াও মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে সম্পূর্ণ অবস্থান জানতে হবে রাজ্যকে। জানা গিয়েছে আগামী ৭ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

CESC-র প্রতি চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

এদিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহরে এত জনের মৃত্যুর জন্য CESC-কে দায়ী করে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণের দায় সিইএসসি-কে নিতে হবে।” গতকাল অর্থাৎ বুধবার ভবানীপুরের একটি পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিইএসসি যদি মৃতদের পরিবারের চাকরির ব্যবস্থা না-করে, তা হলে পরিবারের এক জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেবে তাঁর সরকার। একই সঙ্গে CESC-র কাছে তিনি ‘অনুরোধ’ জানিয়ে বলেন, মৃতদের পরিবারকে যেন ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: বাড়তি ১০ নম্বর বাতিলের দাবি নিয়ে পথে চাকরিপ্রার্থীরা! করুণাময়ীয়ে ধন্ধুমার কাণ্ড

অন্যদিকে তড়িদাহত হয়ে এতজন সাধারণের মৃত্যুর ঘটনায় গতকালই আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আর্জি ছিল, পুজোর সময়ে যাতে খোলা তার এদিক ওদিক না পড়ে থাকে, কারোর যেন প্রাণ না যায় সেসব নজর রাখা। জানা গিয়েছে ওই মামলাটি আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার শুনবে আদালত। এদিকে পুজোর কয়েকটা দিন ফের শহরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পুজোয় প্রত্যেক পুলিশকর্মী ও আধিকারিককে রেনকোট ও পর্যাপ্ত ছাতা নিয়ে ডিউটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ড স্তর নিয়ে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে থানাগুলির তরফে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥