বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গত এপ্রিলে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terrorist Attack) অকালে প্রাণ ঝরেছে 26 জন নিরীহর। আর সেই হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করেছিলেন কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক, মহম্মদ কাটারি ইউসূফ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে, বুধবারই তাঁকে দক্ষিন কাশ্মীরের কুলগাঁও থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাচ্চাদের পড়াতেন ইউসূফ। পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজের ফাঁকে জঙ্গিসংগঠনকেও সাহায্য করতেন তিনি। এক কথায়, পাক জঙ্গিদের ওভার গ্ৰাউন্ড ওয়ার্কার ছিলেন এই কাশ্মীরি।
কীভাবে ইউসূফের খবর পেলেন তদন্তকারীরা?
দ্য হিন্দুর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় তদন্তকারীদের একটা বড় অংশের অনুমান, পাকিস্তানের নামকরা জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কাশ্মীরের বাসিন্দা ইউসূফের। তাদের দাবি, কাশ্মীরের বৈতরণ উপত্যকায় হওয়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন জঙ্গিকে সাহায্য করেছিলেন তিনি।
বলা বাহুল্য, শ্রীনগরের কাছে দাচিগ্রামের জঙ্গলে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার 3 জঙ্গির খোঁজে অপারেশন মহাদেব চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তাতেই ওই 3 জঙ্গিকে নিকেশ করেন জাওয়ানরা। জানা যায়, ওই তিন সন্ত্রাসীকে হত্যা করার পর তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম পেয়েছিলেন সেনারা। সেখান থেকেই নাকি উঠে আসে মহম্মদ ইউসূফের নাম। জাওয়ানারা নাকি জানতে পারেন, কাশ্মীরের ওই শিক্ষকই জঙ্গিদের সব রকম খবর পাচার করছিলেন।
অবশ্যই পড়ুন: ‘টাইগার কে?’ বাংলাদেশ দলের নামই জানেন না পাক তারকা আফ্রিদি! ভিডিও ভাইরাল
সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের তরফে তথ্য পেতেই বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁও জেলায় বিশেষ অভিযানে নামে শ্রীনগর পুলিশ। এরপরই গ্রেফতার করা হয় বছর 26 এর জঙ্গিদের খোচর ইউসূফকে। পুলিশ সূত্রে যা খবর, অপারেশন মহাদেব চলাকালীন নিহত জঙ্গিদের লজিস্টিক সাহায্য করেছিলেন ইউসূফ। পহেলগাঁও হামলাতেও সন্ত্রাসীদের সাহায্য করেন তিনি। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ তদন্ত ও বিশ্লেষণ চলাকালীনই বেশ কিছু তথ্য থেকে ওই যুবকের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছিল।
যদিও, 26 জনের মৃত্যুর পেছনে ওই কাশ্মীরি যুবকের প্রত্যক্ষভাবে হাত ছিল কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। এ নিয়ে অবশ্য এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, তদন্ত যতটুকু এগিয়েছে তা থেকেই ধারণা করা হচ্ছে পেশায় শিক্ষক ইউসূফই জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছিলেন!