প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দেড়শো বছরে পা দিয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানা। আর তাই ১৫০ বছরের পূর্তি উপলক্ষে গতকাল অর্থাৎ বুধবার আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipore Zoo) ডাকটিকিট চালু করা হয়েছে। তার সঙ্গে উদ্বোধন করা হয়েছিল ডিজিটাল লাইব্রেরিও। গতবার এই অনুষ্ঠানে চিড়িয়াখানার সব কর্মী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু চলতি বছর সেই অনুষ্ঠানে এবার অন্য চিত্র ধরা পড়ল। আর এবার কর্মীদের ক্ষোভের কারণ হয়ে উঠল আলিপুর চিড়িয়াখানার নয়া অধিকর্তা তৃপ্তি শাহ।
ক্ষোভ প্রকাশ কর্মীদের
১৮৭৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আলিপুরে তৈরি হয় চিড়িয়াখানা। সেই পুরোনো নির্মাণ দেখতে দেখতে গতবছরই ১৫০ বছর পূর্ণ করেছে। যদিও এই নিয়ে গতবারই বড় অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর ১৫০ বছরের পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হলে একাংশ কর্মী অংশগ্রহণ না করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। কর্মীদের অভিযোগ, চিড়িয়াখানায় তাঁরা ৩৬৫ দিন পরিষেবা দেন। চিড়িয়াখানার সব কাজই এই কর্মীরাই করে থাকেন। কিন্তু তবুও গতকালকের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে নয়া অধিকর্তা তৃপ্তি শাহ আমন্ত্রণ জানায়নি নিচুতলার কর্মীদের। আর তাতেই ক্ষুব্ধ সকলে। যেখানে আগের বছর সেখানকার কর্মী ও ইউনিয়নকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তৎকালীন কর্তৃপক্ষ।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস বনমন্ত্রীর
সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন আলিপুর চিড়িয়াখানার নয়া অধিকর্তা তৃপ্তি শাহকে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কাছে আরও অভিযোগ করে চিড়িয়াখানার কর্মীরা। তাঁরা বলেন, নয়া অধিকর্তা নাকি কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এমনকি যখন তখন কর্মীদের কাজ থেকে বসিয়ে দিচ্ছেন। তাই তাঁরাপ্রতিবাদ স্বরূপ অনুষ্ঠানের খাওয়াদাওয়া বয়কট করেছেন। আর এই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বনমন্ত্রী। আর তাতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। উল্লেখ্য গতকালের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্টবেঙ্গল ফরেস্ট ডেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ মারিয়া ফার্নান্ডেজ, বনদফতরের প্রধান সচিব দেবল রায়, তৃপ্তি শাহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে গীতা, তুলসি বিতরণ করা বিজেপি কর্মীদের মারধর! কাঠগড়ায় তৃণমূল
প্রসঙ্গত, গতকাল ডাকটিকিট এবং ডিজিটাল লাইব্রেরি উদ্বোধনের পর চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন তাঁর ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে চিড়িয়াখানার স্মৃতি। তিনি বলেন, “বাবা-মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় চিড়িয়াখানা ঘুরতে এসেছিলাম। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে চিড়িয়াখানায় ঢুকে ছিলাম। আইসক্রিম কিনে দিয়েছিলেন বাবা। সেই আইসক্রিমের স্বাদ এখনকার আইসক্রিমে নেই।” মন্ত্রীর সুমধুর স্মৃতিচারণা শুনে এদিন সকলেই হারিয়ে যান শৈশবে।