‘নামাজের সময় বন্ধ রাখতে হবে মাইক’ নিদান আমডাঙার বিধায়কের! পাল্টা দিলেন শুভেন্দু

Published on:

Amdanga

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আজ চতুর্থী, মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের। তাই চারিদিকে দুর্গাপুজোর তোড়জোড় চলছে জোর কদমে। ইতিমধ্যে প্রতিটি ক্লাবগুলোতে পুজো অনুদান বিলি করা চলছে। চলতি বছর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি পুজো কমিটিকে দেওয়া হচ্ছে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। বেশ খুশি সকলে। কিন্তু এবার সেই পুজোর অনুদান বিলি করার সময় বিতর্কিত মন্তব্যে জড়িয়ে পড়লেন আমডাঙার (Amdanga) তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান।

মাইক বন্ধের বিতর্ক আমডাঙ্গায়

রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আমডাঙা এলাকার ১২২টি দুর্গাপুজো কমিটি চলতি বছর পুজো অনুদানের তালিকায় উঠে এসেছে। আর সেই সকল কমিটিগুলোকে পুজো অনুদান হিসেবে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান। আর এই পুজো অনুদান কর্মসূচির মাঝে বক্তব্য রাখার সময় পুজোয় মাইক বিতর্কে নিয়ে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এদিন তাঁর বক্তব্য ছিল, যেখানে মিশ্র এলাকা রয়েছে অর্থাৎ কাছাকাছি মসজিদ আছে সেখানে মুসলমানদের নামাজ পড়ার সময় ১০-১৫ মিনিটের জন্য মাইক বন্ধ রাখা হোক। যদিও সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে তিনি এই অনুরোধ রাখেন। আর সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

পাল্টা জবাব শুভেন্দুর

এদিন শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, “পঞ্জিকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে কাসর বাজবে নির্দিষ্ট সময়ে ঘন্টা বাজবে এবং নির্দিষ্ট সময় ঢাক বাজবে। আপনার বলে দেওয়া নিয়মে এখানে কাসর ঘণ্টা বাজবে না, মনে রাখবেন বাংলাদেশে আপনারা যা করেছে, সেটা ভারতে হবে না। কারণ ভারতের আরেক নাম হিন্দুস্থান।” এদিকে এই মন্তব্য শোনার পর এলাকা সহ গোটা শাসকদলে এক চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি শাসকদলের তরফ থেকে।

আরও পড়ুন: অমিত শাহের পুজো উদ্বোধনকে ঘিরে বিস্ফোরক অভিষেক!

অন্যদিকে কিছু দিন আগে পুজোর অনুদান দিয়ে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে। পুজো কমিটিগুলির উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙানোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেই সময় যদিও এই বক্তব্যকে ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, “এটা জনগণের করের টাকা, কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। সরকার ধার করে এই অনুদান দিচ্ছে। কিন্তু নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে যেভাবে ক্লাবগুলিকে ধমকাচ্ছেন মনে হচ্ছে অনুদানের টাকা যেন ওনাদের পৈতৃক সম্পত্তি।”

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥