প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বর্তমান সমাজ যতই উন্নত হোক না কেন, মেয়েদের নিরাপত্তা ক্রমশই নিম্ন থেকে নিম্নতর হয়ে চলেছে। বাড়ির বাইরে তো বটেই ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেও সুরক্ষিত নয় কন্যাসন্তান। আর এই আবহে নিজের মেয়েকেই ধর্ষণ করল বাবা। অভিযোগের গ্রেপ্তার করেছে এনজেপি থানার পুলিশ। ধৃত ব্যক্তিকে শনিবার নিউ জলপাইগুড়ি (New Jalpaiguri) জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৯ সেপ্টেম্বর, অভিযুক্তের স্ত্রী দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে বিহারে বাপের বাড়ি চলে যান। এর পরে ২২ তারিখ অভিযুক্ত ব্যক্তি শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তীব্র অশান্তি করেন এবং পুজোর কেনাকাটার নাম করে স্ত্রীকে রেখে তিন সন্তানকে নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ির বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। এর পরে গত ২৪ তারিখ বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে বড় মেয়েকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত বাবা। এমনকি মেয়েকে ধর্ষণের পর রীতিমত ভয় দেখিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর নির্দেশ দেন তিনি। মুখ খুললে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে
এদিকে বাবার এই অপকাণ্ড কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না মেয়ে। শেষে অভিযুক্তর স্ত্রী শিলিগুড়িতে ফিরলে মাকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানানো হয়। তিনি সম্পূর্ণ অভিযোগ শোনার পর সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে গত ২৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্তকে আজ অর্থাৎ শনিবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হবে। সেখানেই পরবর্তী বিচার নিয়ে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের ‘পুজো বন্ধ করার প্ল্যান চূড়ান্ত’! বিস্ফোরক সজল ঘোষ
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে জলপাইগুড়িতে নাম, পরিচয় গোপন করে বয়স ভাড়িয়ে প্রেমালাপ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নাবালিকাকে প্রেমের জালে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল প্রতিবেশী ব্যক্তি। পরে নাবালিকা ওই ব্যক্তিকে চিনে ফেলায় আর যোগাযোগ রাখতে চায়নি। শেষে প্রতিশোধ নিতে ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। শেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল অভিযুক্তকে। ধৃতকে জলপাইগুড়ি বিশেষ আদালতে তোলা হলে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
