প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বীরভূমের রাজনীতিতে শাসকদলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা হিসেবে বরাবরই পরিচিত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। শুধু রাজনীতি নয় এর পাশাপাশি নিজের গ্রাম বীরভূমের নানুরের হাটসেরান্দিতে দুর্গাপুজোও বেশ বিখ্যাত। কারণ সেই উৎসবের প্রাণকেন্দ্র হলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর এবার বহু ঝড় ঝাপটার পর ফের আলোর কেন্দ্রে আসতে চলেছে শতাব্দী প্রাচীন হাটসেরান্দি গ্রামের মোড়লবাড়ির পুজো।
ফের নিজের গ্রামের পুজোতে অনুব্রত
২০২২ এবং ২০২৩ এই দুই বছর কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে থাকার জন্য নিজের গ্রামে যেতে পারেননি। ফলে ফিকে হয়ে গিয়েছিল সেই গ্রামের দুর্গোৎসবের আমেজ। এমনকি গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ এ তাঁর জেলমুক্তি হলেও গ্রামের পুজো সেরকম জাঁকজমক ছিল না। দ্য ওয়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী চলতি বছর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব আগের মেজাজেই আসতে চলেছে। ফের জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাই পুজোয় উমার আগমনের মাঝেই কেষ্টর গ্রামে ফেরা ঘিরে আলাদা উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে হাটসেরান্দি গ্রামবাসীদের মধ্যে।
পাত পেড়ে খাওয়ানোর আয়োজনে ভাটা!
এদিকে রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডল ‘কামব্যাক’ করলেও বীরভূম জেলা সভাপতির পদে না থাকায় বর্তমানে তিনি জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির কনভেনার। ফলে রাজনৈতিকভাবে তিনি সক্রিয় থাকলেও গ্রামের পুজোর পুরনো ‘আভিজাত্য’ আর ফেরাতে পারছেন না কেষ্ট। গ্রামবাসীদের খাওয়া দাওয়া নিয়ে এখনো সংকটে রয়েছেন তিনি। অনুব্রতের বক্তব্য, “আমার কোনও অ্যাকাউন্টই খোলেনি। খাওয়ার আয়োজন করব কোথা থেকে!” অতএব, এবারের দুর্গাপুজোতেও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রামের মানুষজনকে পাত পেড়ে খাওয়ানোর আয়োজন থাকছে না। তবে নিজের গ্রামেই পুজো কাটাবেন তিনি—এই আশ্বাসেই খুশি হাটসেরান্দির বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনা জওয়ানকে অপমান করে গ্রেফতার ফিট বিশ্বজিৎ
প্রসঙ্গত, হাটসেরান্দিতে মোট ১৮টি দুর্গাপুজো হলেও অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পুজোর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ষষ্ঠী থেকে দশমী প্রতিদিন সকাল-বিকেল গ্রামে সময় কাটাবেন কেষ্ট। সঙ্গে থাকবেন মেয়ে সুকন্যাও। পুজোয় রাজনৈতিক নেতাদের ভিড়ও বাড়বে স্বভাবতই।যদিও আগের মতো জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন আর নেই, তবুও পুজোর সময় প্রভাবশালী নেতাকে কাছে পাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা রয়েছেন স্থানীয়রা।