বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ 4 বছর পর 8 অক্টোবর শুরু হচ্ছে IFA শিল্ড। একই মাসে গড়াবে বহু অপেক্ষিত সুপার কাপও। সেসব নিয়েই এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। এরই মাঝে ময়দানে উঠল গুঞ্জন। শোনা যাচ্ছে, লগ্নীকারী সংস্থার সাথে নাকি দূরত্ব বেড়েছে লাল হলুদের (East Bengal FC)। সেটা নিয়েই নাকি চিন্তিত মশালবাহিনীর ম্যানেজমেন্ট!
লগ্নীকারী সংস্থার সাথে দূরত্ব বেড়েছে ইস্টবেঙ্গলের?
লগ্নীকারী সংস্থা ইমামির সাথে নাকি ইস্টবেঙ্গলের সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। আজকাল ময়দানের আলোচনায় কান পাতলে এই খবরই উঠে আসছে। কিন্তু কেন হঠাৎ ইনভেস্টারদের চক্ষুশূল হয়ে উঠলেন লাল হলুদ কর্তারা? বর্তমান পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ইস্টবেঙ্গলের অন্দরে কখন কী হচ্ছে তা আগে থেকে জানতেই পারছেন না মশালবাহিনীর কর্তারা।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, সম্প্রতি শত টালবাহানার পর গ্রিক স্ট্রাইকার দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসকে ছেড়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আর এই ঘটনার পরই, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লাল হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছিলেন, ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট দিমিকে ছেড়ে দিল এ খবর সংবাদমাধ্যম থেকেই জানতে পারলাম। এর আগে আমাদের সাথে এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।
এদিন, ইস্টবেঙ্গল কর্তার গলায় শোনা গিয়েছিল, অহেতুক দূরত্ব তৈরির চেষ্টা না করাটাই বাঞ্ছনীয়। ইস্টবেঙ্গল কর্তার এমন বক্তব্যের পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি ইস্টবেঙ্গলের সাথে লগ্নীকারী সংস্থার সম্পর্কে ফাটল দেখা দিল? কেন হল এমন? ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টারদের তরফে অবশ্য এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
অবশ্যই পড়ুন: ‘এরপরেও জিতেছি বলছেন!’ পাক প্রধানমন্ত্রীকে যোগ্য জবাব দেওয়া কে এই পেটাল গেহলট?
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই ইস্টবেঙ্গলের পাশে থেকেছে ইমামি। শেষবারের মতো, বৈঠকের পরই ঠিক করা হয়, দলের শক্তি বাড়াতে যা করতে হয় সেটাই করা হবে। এবার থেকে ইস্টবেঙ্গলের স্বার্থে বিদেশি ফুটবলার কেনার ক্ষেত্রে কার্পণ্যতা করা হবে না। সেই মতোই, সম্প্রতি একাধিক নতুন বিদেশীকে সই করিয়ে নিয়েছে মশাল ব্রিগেড। তাতে অবশ্য আখেরে লাভই হয়েছে অস্কার ব্রজোদের।