সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমান দিনে Whatsapp আমাদের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ তা বলা চলে। তবে আপনি কি জানেন, ভারতেরই এক উদ্যোক্তা এমন একটি দেশীয় ম্যাসেজিং অ্যাপ তৈরি করেছে, যা হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাজ করবে? জানা যাচ্ছে, এই অ্যাপটির নাম ‘আরাট্টাই’ (Arattai)। আর এই অ্যাপের পেছনে Zoho কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীধর ভেম্বুর হাত রয়েছে।
আমেরিকার চাকরি ছেড়ে ভারতের গ্রামে ফেরা…
জানা গিয়েছে, শ্রীধর ভেম্বু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। তারপর তিনি সিলিকন ভ্যালিতে চাকরি শুরু করেন। তবে বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে একেবারে উল্টো পথে হাঁটেন তিনি। 2000 এর দশকে স্থায়ীভাবে ভারতের তামিলনাড়ুর এক প্রত্যন্ত গ্রামে ফিরে আসেন। আর তাঁর স্বপ্ন ছিল গ্রাম থেকেই বিশ্বমানের টেক কোম্পানি গড়ে তোলার।
এরপর বাইরের কোনওরকম বিনিয়োগ ছাড়াই শুরু হয় তাঁর কোম্পানি। প্রথমে সেই কোম্পানির নাম ছিল AdventNet। আর পরে তা কর্পোরেশন ZOHO কর্পোরেশন হয়ে ওঠে। বর্তমানে Zoho কর্পোরেশন বিশ্বের অন্যতম সফল সফটওয়্যার কোম্পানি তা বলা চলে। তাদের তৈরি 50 টিরও বেশি ক্লাউড ভিত্তিক সফটওয়্যার আজ 180 টিরও বেশি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর প্রায় 10 কোটিরও বেশি মানুষ তা ব্যবহার করছে।
We’re officially #1 in Social Networking on the App Store!
Big thanks to every single Arattai user for making this possible. 💛#StayConnected #Arattai pic.twitter.com/gqxPW108Nq— Arattai (@Arattai) September 27, 2025
সবথেকে আশ্চর্যকর বিষয় হল, শ্রীধর তাঁর কোম্পানি নিজের গ্রাম থেকেই পরিচালনা করেছেন। বড় শহর বা ঝকঝকে অফিস নয়, বরং গ্রামের সাধারণ মানুষদের নিয়েই তিনি এগিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, প্রতিভা শুধুমাত্র বড় শহরে নয়, গ্রামের মধ্যেও থাকে। আর সেখান থেকেই তাঁর সাফল্য।
দিয়েছেন গ্রামীণ যুবকদের প্রশিক্ষণ
উল্লেখ্য, শুধুমাত্র কোম্পানি গড়া নয়, বরং গ্রামীণ যুবকদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন শ্রীধর। তিনি নিজের উদ্যোগে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং স্কুল চালু করেছিলেন। আর সেখানে গ্রামাঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট শিখে আজ সরাসরি Zoho কর্পোরেশনে কাজ পাচ্ছে। এর মাধ্যমে বেকার তরুণ তরুণীদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুনঃ দেবের রঘু ডাকাতকে জোর টেক্কা রক্তবীজ ২-র! চারদিনের বক্স অফিস কালেকশনে কে এগিয়ে?
এদিকে হোয়াটসঅ্যাপের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতেই শ্রীধরের কোম্পানি আরাট্টাই নামের একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। আর এটি এমন একটি দেশীয় ম্যাসেজিং অ্যাপ, যার মূল বিশেষত্ব ডেটা প্রাইভেসি এবং স্থানীয় প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া। অ্যাপটি ইতিমধ্যেই ভারতের অ্যাপ স্টোরে নম্বর ওয়ান সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই অ্যাপটির প্রচার করছে। ফলে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই এর জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছে।