সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিরাটি ঝটকা গেল টিসিএস কর্মীরা। দেশের সবথেকে বড় আইটি কোম্পানি টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসে এবার চলছে বিরাট কর্মী ছাঁটাই (TCS Layoffs)। অফিসে এখন শুধুমাত্র ভয় আর অনিশ্চয়তা। দুই মাস আগেই সংস্থার সিইও জানিয়েছিলেন, কর্মী সংখ্যার প্রায় 2 শতাংশ কমানো হবে। আর তা সংখ্যায় দাঁড়াচ্ছিল 12,000। তবে আইটি কোম্পানি সংগঠনগুলি দাবি করছে, এই সংখ্যা 30,000 ছাড়িয়ে যেতে পারে।
কর্মীদের অভিযোগ
মানি কন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুযায়ী, টিসিএসের একাংশ মনে করছে, জোর করে তাদের পদত্যাগ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোম্পানির তরফ থেকে, যা টিসিএসের রেকর্ডে স্বাভাবিক অ্যাট্রিশন হিসেবেই দেখানো হচ্ছে। তারা দাবি করছে, জুন মাস থেকে অন্তত 10 হাজার কর্মী সরাসরি এই বিষয়ে অভিযোগ করেছে। কিন্তু সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণটাই গুজব। প্রকৃতপক্ষে 2 শতাংশের বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হয়নি।
এদিকে রোহন নামের 35 বছরের এক কর্মী যিনি টানা 13 বছর ধরেই টিসিএসে কাজ করছেন, তিনি জানিয়েছেন, পাঁচ মাস ধরে এইচ আর ঊর্ধ্বতনদের চাপের মধ্য দিয়ে থাকতে হচ্ছে। এমনকি শেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে। এত বছর যেই সংস্থার জন্য সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছি, সেখানে এরকম ব্যবহার পাব কোনওদিন কল্পনা করতে পারিনি।
এমনকি তিনি এও অভিযোগ করেন, যে তাঁকে 6 থেকে 8 লক্ষ টাকা পর্যন্ত রিকভারি অ্যামাউন্ট দিতে বলা হয়েছিল। আর এর অর্ধেক গ্র্যাচুইটি এবং ছুটির টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু বাকি টাকা তিনি টিসিএসকে মিটিয়ে দেন। বর্তমানে তিনি পুণেতে বন্ধুদের বাড়িতে থাকেন আর নতুন চাকরির খোঁজ করছেন।
টিসিএসের নতুন নীতি
প্রসঙ্গত, জুন মাসে টিসিএসের নতুন নীতিও কার্যকর করা হয়েছে। আর সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, প্রতি কর্মীকে বছরে অন্তত 225 দিন উপলব্ধ থাকতে হবে। একটানা 35 দিনের বেশি ছুটিতে থাকা যাবে না। আর এই শর্ত পূরণ না করলেই চাকরি হারানোর ঝুঁকি তৈরি হবে। অর্থাৎ, যাদের প্রজেক্টে জায়গা হচ্ছে না, তাদের উপর দিনের পর দিন চাপ বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃ ফের পাক প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানকে প্রশংসায় ভাসালেন! হঠাৎ কী হল ট্রাম্পের?
এদিকে সব জল্পনা কল্পনার ইতি ঘটবে আগামী 9 অক্টোবর। কারণ এদিন টিসিএসের ত্রৈমাসিক ফল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন সেখানকার শীর্ষকর্তারা। আর তখনই স্পষ্ট হবে ঠিক কোন কোন কর্মীর উপর কতটা প্রভাব পড়তে চলেছে