বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকার পর পাক সরকারের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদী স্বর তা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। এদিকে আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে গুলি চালিয়েছে পাকিস্তানি সেনা (Pak Army Fired On Protesters)। তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 12। এখনও পর্যন্ত আহতদের সংখ্যা 200 পার। তাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি। POK জুড়ে বিদ্রোহীরা ক্রমশ তাদের শক্তি বৃদ্ধি করছে।
আহতদের মধ্যে পুলিশের সংখ্যাই বেশি
NDTV-র রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিদ্রোহীদের সাথে নিরাপত্তা রক্ষীদের সংঘর্ষ চলাকালীন আহত হয়েছেন কমপক্ষে 170 জন পুলিশ কর্মী। এছাড়াও প্রাণ গিয়েছে 3 জন ঊর্ধীধারীর। তাছাড়াও আহত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে 10 জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, ইসলামাবাদ ও মুজাফফরবাদে এয়ারলিফটে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের।
ভয় থেকেই POK নাগরিকদের উপর গুলি চালানো শুরু করেছে পাক সেনা
দীর্ঘদিন ধরে শেহবাজ শরীফ সরকারের তরফে নানান প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও তার একটাও পূরণ হয়নি। মূলত সেই কারণেই নানান বঞ্চনাকে সামনে রেখে পাক সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। দেশটির বিভিন্ন শহরে চলছে সরকারবিরোধী মিছিল। এদিকে জনতার রোষের মুখে পড়ে ভয় কাঁপছে শরীফ সরকার। যার জেরে যেকোনও প্রকারে বিদ্রোহীদের আটকা তাদের উপর গুলি চালানো শুরু করেছে পাক সেনা।
সূত্রের খবর, গত সোমবার থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর জুড়ে শাটার ডাউন ও চাক্কা জ্যামের ডাক দিয়েছে বিদ্রোহীরা। সেই খবর কানে যেতেই আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে পাক সরকার। আর তারপরেই POK নাগরিকদের উপর সেনাকে নির্মম অত্যাচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছে শরীফের প্রশাসন! একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমে সূত্রে খবর, পুলিশের লাঠিচার্জ এবং সেনার গুলিকে উপেক্ষা করে শেহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিকে বড়সড় অশান্তি এড়াতে ইসলামাবাদ, করাচি সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করেছে পাকিস্তান সরকার।
অবশ্যই পড়ুন: চোখে সর্ষের ফুল দেখিয়ে তুললেন ৪ উইকেট, সিরাজ ঝড়ে কাবু ওয়েস্ট ইন্ডিজ
উল্লেখ্য, আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির নেতৃত্বে পথে নেমেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণ। POK এর সাধারণ বাসিন্দাদের দাবি, তাদের কথা এতোটুকুও ভাবে না পাকিস্তান সরকার। দীর্ঘদিন ধরে নানান সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। এদিকে আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছে, পাক সরকার কাশ্মীরের মানুষের উপর গুলি চালিয়ে তাদের দমিয়ে রাখতে চাইছে। এমনটা হবে না! নাগরিকদের মৃত্যুর কঠিন মূল্য দিতে হবে শরীফের প্রশাসনকে।