‘অনুদান নিয়ে বলির পাঁঠা!’ মালদায় কার্নিভালে ‘না’ তৃণমূল ঘেঁষা একাধিক পুজো কমিটির

Published:

Malda
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: উৎসব শেষ হয়েও যেন হচ্ছে না শেষ। আবারও মহা উৎসবে মাতোয়ারা হতে চলেছে রাজ্যবাসী। জেলায় জেলায় পুজোর কার্নিভালের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। আগামিকাল ৫ অক্টোবর কলকাতার রেড রোডে, এবারের দুর্গাপুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। শহর কলকাতা ও শহরতলির সেরার সেরা পুজোগুলি এই কার্নিভালে অংশ নেবে। কিন্তু এবার কার্নিভাল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। মালদায় (Malda) তৃণমূল প্রভাবিত অধিকাংশ পুজো কমিটি এই কার্নিভালে অংশ নিতে চাইছে না। আর তাতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা।

কার্নিভাল নিয়ে বিতর্ক মালদায়

কার্নিভাল মানেই সে এক বড় ঝক্কি। যাদের কলকাতা ও কলকাতার আশেপাশের সেরা প্রতিমাগুলি দেখার সৌভাগ্য হয়না, তারা এই একটা উপায়ে নিশ্চিন্তে সেই সকল প্রতিমা উপভোগ করতে পারে। কিন্তু সেই কার্নিভাল নিয়ে এবার নয়া বিতর্ক শুরু হল মালদায়। টিভি ৯ বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী মালদায় ২০১ টা পুজো হয়। এছাড়াও জেলা জুড়ে অসংখ্য পুজো হয়ে থাকে বরাবর। এবার মাত্র ২৩ টা ক্লাবের থাকার কথা রয়েছে কিন্তু তাও সবকটা ক্লাব অংশ নেবে না বলেই জানা যাচ্ছে। মাত্র ১৭ টা ক্লাবের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। বিপুল খরচের মাঝে ক্লাবগুলির অংশগ্রহণ না করা নিয়ে এবার মুখ খুলল পুজো উদ্যোক্তরা।

অংশ নিতে চাইছে না বহু ক্লাব

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কার্নিভালের আগে অভিযোগ ওঠে যে শাসক দল ও প্রশাসনের চাপে কিছু ক্লাব প্রতিমা নিরঞ্জন করে দেয়। কিন্তু পরে কার্নিভালের জন্য মডেল স্বরুপ ছোটো প্রতিমা বানিয়ে বা কোনও পাড়ার প্রতিমাকে নিজেদের প্রতিমা হিসেবে পরিবেশন করে। চরম অব্যবস্থা দেখা যায়। এসবের মধ্যেই আবার দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থেকে বয়স্ক মানুষরাও বেশ বিরক্ত। তাই এবার এই কার্নিভাল নিয়ে সরব হল বিরোধী দল সহ পুজো কমিটি গুলির ফোরাম। ফোরামের সম্পাদক শুভ্রজ্যোতি দত্ত বলেন, “২৩ টা ক্লাব কার্নিভালে অংশ নিতে পারবে। যে ক্লাব আগে আসবে, সেই মোতাবেক তালিকা সাজানো হবে। কারণ তাতেও খরচার ব্যাপার রয়েছে। কমপক্ষে ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো খরচ রয়েছে। তাই অনেকেই অংশ নিতে পারে না।”

আরও পড়ুন: প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় ধুন্ধুমার কাণ্ড শিলিগুড়িতে! লাঠিচার্জ পুলিশের

মালদার কার্নিভাল নিয়ে যেখানে বিতর্ক চরমে, তখন এই বিষয়টি নিয়ে মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এখন তো দেখি পিতৃপক্ষেই পুজো প্যান্ডেল উদ্বোধন হয়ে যাচ্ছে। সেটা কখনও হয়! এখন পুজো নিয়েও রাজনীতি হয়। কার্নিভালে তো লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ আছে, তাই অনেকে এড়িয়ে যাচ্ছে। অনুদান যে পুজো কমিটি নিচ্ছে, তারা তো কেনা গুলাম হয়ে যাচ্ছে। তাই যেতে অনেকক্ষেত্রে বাধ্য থাকছে, তারাই বলির পাঁঠা হয়ে যাচ্ছে।”

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join