প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত কয়েক বছর ধরে, বাংলাদেশে ইসলামিক বিপ্লবের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য সেখানকার হিন্দুদের দুর্গাপুজো পণ্ড করতে মৌলবাদীদের সক্রিয়তা বেড়ে গিয়েছিল। পুজো আয়োজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় এমনকি উদ্যোক্তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি কিশোরগঞ্জ-সহ অন্যান্য জায়গাতেও প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে এসেছিল। আর এবার সেই ছায়া দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে (Tamluk)। লক্ষ্মী, কালী মিলিয়ে মোট পঞ্চাশটি প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল।
‘প্রতিমা ভাঙচুর তমলুকে’
সবে মাত্র শেষ হল দুর্গোৎসব, এখনও কাটেনি রেশ। আর কয়েকদিন পরেই ঘরে ঘরে লক্ষ্মী এবং কালী পুজো রয়েছে, তাই জোর কদমে চলছে মূর্তি নির্মাণ এবং রঙের প্রলেপের কাজ। এমন সময় ফের মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠে এল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। এই নিয়ে আজ সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টে তিনি জানান, “গত কাল রাত্রে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে নিমতৌড়ি হাই রোড সংলগ্ন গণপতি নগরে, উত্তর নারকেলদা হাটের কাছে অনিল চাকড়ার প্রতিমা তৈরীর কারখানায় লক্ষ্মী প্রতিমা ও কালী প্রতিমা মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে জেহাদিরা। প্রতিমাগুলি আসন্ন লক্ষ্মী পুজো ও কালী পুজোর জন্য তৈরী করা হচ্ছিল।”
জেহাদিদের দিকে আঙুল তুলল শুভেন্দু
এদিন শুভেন্দু অধিকারী, সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বলেন যে, “এর আগেও রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় জেহাদিদের দ্বারা মুর্তি ভাংচুরের ঘটনা রাজ্যবাসী দেখেছিল। আসলে পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। রাজ্য সরকার ৩০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করার জন্য এই সব দেখেও চোখ বুজে রয়েছে, কারণ ভোট বড়ো বালাই। আমি পুলিশ প্রশাসন কে অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলব। নাহলে এই ধরনের জেহাদিদের উৎপাত আরও বাড়তেই থাকবে। যদিও এই নিয়ে শাসক দলের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: দুর্গার গয়না চুরি নয়, পরীক্ষার পাস করতে সিঁদুর-ফুল নিয়েছিল সিভিকরা! দাবি পুলিশের
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছিল। কোনওটার মাথা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কোনওটার হাত আবার উল্টে দেওয়া হয়েছে প্রতিমা-সহ কাঠামো। খুবই খারাপ অবস্থা। এর আগে বাংলাদেশে মূর্তি ভাঙার ঘটনা নিয়েও সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার তমলুকের ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রসঙ্গও টেনে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন তিনি।