বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পাকিস্তানকে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন সরবরাহ করছে রাশিয়া (Russia-Pakistan Engine Supply)? সম্প্রতি, এমন জল্পনায় ছেয়ে গিয়েছিল নেট দুনিয়া। শোনা যাচ্ছিল, JF-17 থান্ডার যুদ্ধবিমানের জন্য ইসলামাবাদকে ইঞ্জিন সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো! এবার সেই উড়ো খবরের পরিপ্রেক্ষিতে সূত্র উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা ইয়ন তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ‘ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক। তাতে যারা দীর্ঘদিন ধরে নজর রাখছেন সেইসব পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, রাশিয়া পাকিস্তানকে যুদ্ধ বিমানের ইঞ্জিন সরবরাহ করছে এমন তথ্য সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। পাকিস্তানের সাথে এমন কোনও সখ্যতা রাশিয়ার নেই, যা ভারতের জন্য চিন্তার কারণ হবে।’
ভারত-রাশিয়া সম্পর্কে চিড় ধরানোর চেষ্টা?
প্রতিবেদন বলছে, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং দুই দেশের প্রধানের মধ্যে যে সখ্যতা তাতে আঘাত হানতে চাইছে কিছু অসাধু। বলা বাহুল্য, আসন্ন ডিসেম্বরেই ভারত সফরে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নয়া দিল্লিতে পা রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করবেন তিনি। পরবর্তীতে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে। আর তার ঠিক আগে, ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দুই দেশের সম্পর্কে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ।
পুতিনের ভারত সফর চিন্তায় রাখবে ট্রাম্পকেও!
আসন্ন ডিসেম্বরেই ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে পুতিন যে দেশে আসছেন সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই পুতিনের মন্ত্রণালয় থেকে সেই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, ‘ভারতে এসে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করবেন মোদি-পুতিন। তবে পুতিনের ভারত সফর চিন্তায় রাখবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও।’
অবশ্যই পড়ুন: ‘খেলার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের জীবন, যুক্তি দিয়ে ভাবুন!’ বিবৃতি দিল মোহনবাগান
না বললেই নয়, সম্প্রতি রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের উপর দুই ধাপে 50 শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের তরফে ট্রাম্পের সেই শুল্ককে অন্যায্য আখ্যা দেওয়া হয়েছে। নয়া দিল্লি সাফ জানিয়েছে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে সম্প্রতি ভারতের হয়ে ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে বড় বার্তা দিয়েছেন পুতিনও। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য বন্ধ করতে ভারত এবং চিনকে চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। এতে আর্থিক দিক থেকে ক্ষতি হবে তাদেরই।’ এহেন আবহে পুতিনের ভারত সফর এবং বন্ধু মোদির সাথে আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।