নিজের উদ্যোগে মধ্যবিত্তদের জন্য উপনগরী বানাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

Published:

Government Of West Bengal
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কয়েক মাস আগেই রাজ্যের আবাসন ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। নিউটাউন এলাকায় সাধারণ মধ্যবিত্তের জন্য ফ্ল্যাটবাড়ি উপহার দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর ও স্বল্পবিত্ত নাগরিকদের জন্য শুরু করা হয়েছিল দুটি বিশেষ আবাসন প্রকল্প সুজন্ন ও নিজন্ন। যেখানে বাজারমূল্য থেকে অনেক কম দামে ফ্ল্যাটের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন মধ্যবিত্তরা। তবে সেই প্রসেসটি হবে লটারির মাধ্যমে। আর এই আবহে বেসরকারি সংস্থার সাহায্য ছাড়াই নিজ উদ্যোগে মধ্যবিত্তদের জন্য নেওয়া হতে চলেছে এক দারুণ ব্যবস্থা।

অংশীদারিত্বে আর নয় নবান্ন

বর্তমানে কলকাতার বুকে ফ্ল্যাট কেনা চারটি খানি কথা নয়, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের কাছে। কারণ এই বহুমূল্যের ফ্ল্যাট কিনতে গেলে জীবনের গোটা সঞ্চয়ই এখানে চলে যাবে। তার উপর প্রোমোটারিদের ঠকানোর প্রবণতা। কিন্তু সেক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে সরকার। জনসাধারণকে ভরসা জোগাতে বিভিন্ন বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল রাজ্য সরকার। নির্মাণ শিল্প উন্নয়নের লক্ষ্যে তৈরি হয়েছিল ১৯টি জয়েন্ট ভেঞ্চার এবং অ্যাসিস্টেড সেক্টর কোম্পানি। কিন্তু এখন ওই ১৯টি কোম্পানির তৈরি অধিকাংশ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ফলে আর নেই কোনো চুক্তি। তাই এবার অংশীদারিত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছে নবান্ন।

রাজ্য নিজ উদ্যোগে আনতে চলেছে প্রকল্প

বর্তমান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্মাণ শিল্পক্ষেত্রে বেঙ্গল পিয়ারলেস, বেঙ্গল অম্বুজা, বেঙ্গল ডিসিএল, বেঙ্গল ইমামী, বেঙ্গল শেল্টারের মতো ন’টি জয়েন্ট ভেঞ্চার সংস্থা রয়েছে রাজ্যে। এছাড়াও রয়েছে বেঙ্গল মার্লিন, বেঙ্গল সঞ্জীবনী, বেঙ্গল ফোরামের মতো ১০টি অ্যাসিস্টেড সেক্টর কোম্পানি। এদের সকলের সঙ্গেই রাজ্যের তরফে গাঁটছড়া বেঁধেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউজিং বোর্ড। আর এক্ষেত্রে প্রতিটি ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা আসতে পারে রাজ্যের কোষাগারে। ১৯টি কোম্পানিই যদি এই নয়া নীতিতে সাড়া দেয়, তাহলে সরকারের ঘরে ৪ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, আর এই অর্থ ব্যবহার করেই রাজ্য নিজ উদ্যোগে আনতে চলেছে সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রকল্প।

আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ৪৮ হাজার মানুষের আগমন! শ্রীভূমির ভিড়কে ছাপিয়ে গেল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার

উল্লেখ্য, সরকারের আসন্ন এই প্রকল্প মূলত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সাশ্রয়ী ফ্ল্যাট সরবরাহের উদ্দেশ্যে তৈরি হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। আবাসনের পাশাপাশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, উন্নত পরিকাঠামো এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার মত কাজও হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি এক আধিকারিককে ওই অর্থ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কোথায় কোথায় গড়ে উঠবে নয়া উপনগরী? জমি কি চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মধ্যবিত্তের বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য হাউজিং বোর্ডের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। ফলে নির্মাণ কাজ হাতে নিতে কোনও সমস্যাই হবে না। কিন্তু একযোগে সবক’টি কোম্পানির ‘এগজিট পলিসি’তে যাওয়া সম্ভব না বলেই মনে করছে রাজ্য প্রশাসনের একাংশ।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join