সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ লাগাতার বিপর্যয়ের জেরে উত্তরবঙ্গ থেকে মুখ ফিরিয়েছেন পর্যটকরা। দুর্যোগ কাটলেও এখনও অবধি সেখানে বহু পর্যটক আটকে রয়েছে। দার্জিলিং কিংবা সিকিম থেকে শিলিগুড়ি বা এনজেপি নামাই সকলের জন্য এখন মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে। গাড়ি চালকরা চড়া ভাড়া চাইছেন। যাইহোক, উৎসবের আবহে অনেকেই ছিলেন যারা পাহাড়ে ঘুরতে যাবেন বলে মনোস্থির করেছিলেন, কিন্তু সকলের সেই প্ল্যান ভেস্তে গিয়েছে। এর ফলে এখন সকলের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে ‘মিনি দার্জিলিং’ (Mini Darjeeling)। নিশ্চয়ই ভাবছেনে এই মিনি দার্জিলিং আবার কোথায়? তাহলে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
ভিড় বাড়ছে ‘মিনি দার্জিলিং’-এ
আজ কথা হচ্ছে পুরুলিয়ার ‘মিনি দার্জিলিং’ হিসেবে খ্যাত অযোধ্যা পাহাড় নিয়ে। কথায় আছে, ‘কারোর পৌষ মাস তো কারোর সর্বনাশ।’ এক্ষেত্রে অকাল পৌষ মাস হয়েছে পুরুলিয়ার পর্যটন শিল্পের। পুজোর সময় থেকেই অন্যান্য জায়গার মতো পুরুলিয়াতেও পর্যটনের মরসুম শুরু হয়ে যায়। তবে একটানা বৃষ্টির জেরে পুরুলিয়া থেকে যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন পর্যটকরা। তবে আর নয়, উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ শুরু হতেই ফের একবার ভিড় বাড়তে শুরু করেছে পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থেকে শুরু করে অযোধ্যা পাহাড়ে। এর ফলে খুশি পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষ।
পুরুলিয়া মানেই হল প্রকৃতির এক অন্যতম সুন্দর নিদর্শন। এখানে আপনি একাধারে বাঁধ পাহাড়, জঙ্গল, ঝর্ণা সব দেখতে পাবেন। আর এসবের টানেই দার্জিলিং, সিকিমের পাহাড় ছেড়ে পর্যটকরা পুরুলিয়াতে ভিড় জমাচ্ছেন। হোটেলে হোটেল হিড়িক পড়ে গিয়েছে বুকিং-এর। এক কথায় পুরুলিয়া এখন জমজমাট হয়ে গিয়েছে।
খুশি হোটেল ব্যবসায়ীরাও
বিশেষ করে মানুষ অযোধ্যা পাহাড়ে আসছেন। এই বিষয়ে বড় তথ্য দিয়েছেন অযোধ্যা পাহাড়ের গোয়ালিকচার একটি পর্যটন আবাসের বুকিং এগজিকিউটিভ রাই বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকে একের পর এক ফোন আসছে।। সবাই জানতে চাইছেন এখানকার আবহাওয়া কেমন, বৃষ্টি হচ্ছে কিনা। আমরা জানাচ্ছি পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক। কথাটা শুনেই অনেকে বুকিং করছেন।’
অপরদিকে বাঘমুন্ডি লজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুজিত কুমার জানান, ‘উত্তরবঙ্গের ঘটনার পরে পুরুলুয়ার প্রতি আগ্রহ দেখানো স্বাভাবিক। কারণ দক্ষিণবঙ্গে একমাত্র এখানেই পাহাড়, ঝর্ণা, জলাধার আর অরণ্য সবটা আছে।’ এদিকে গাইডরাও জানাচ্ছেন, উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের পর পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে ফের ফোন ও বুকিং বেড়েছে।