সহেলি মিত্র, কলকাতা: উৎসবের আবহে বাংলার রেল যাত্রীদের জন্য রইল এক দারুণ সুখবর। আর এই সুখবর শুনিয়েছে ভারতীয় রেল মন্ত্রক। যাত্রীদের সুবিধার্থে মূলত এবার বাংলায় নতুন এক রেল প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই রেল প্রকল্পের দরুন একদিকে যেমন ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে দেরী কমবে এবং পরিষেবা আরও উন্নত হবে বলে দাবি করা হচ্ছে রেলের তরফে। আসলে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ বিভাগের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ চাঁপাপুকুর-হাসনাবাদ এবং লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা শাখায় ডাবলিং (Hasnabad Namkhana Double Line) প্রকল্পের জন্য চূড়ান্ত অবস্থান সার্ভের অনুমোদন দিল রেলমন্ত্রক।
দুই ২৪ পরগনার মানুষকে বিরাট উপহার রেলের
এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হল উপনগরীয় করিডোরগুলিতে সক্ষমতা বৃদ্ধি, চলাচলের দক্ষতা উন্নত করা এবং সংযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত করা। গত মঙ্গলবার রেলমন্ত্রকে তরফে একটি বিশেষ বিবৃতি জারি করা হয়েছে। আর এই বিবৃতি অনুযায়ী, বর্তমানে চাঁপাপুকুর-হাসনাবাদ শাখায় প্রতিদিন প্রায় ২৩ জোড়া ইএমইউ ট্রেন চলাচল করে। যার ফলে প্রায় ১০০ শতাংশ সক্ষমতা ব্যবহার হচ্ছে। তবে রেলের নতুন ডাবলিং কাজ সম্পন্ন হলে ট্রেন চলাচলের জটিলতা ও বিলম্ব উল্লেখযোগ্যভাবে আগের থেকে আরও কমে যাবে। সকলের রোজকার যাতায়াত ব্যবস্থা আরও মসৃণ হয়ে যাবে।
নজরে একাধিক রেল স্টেশন
রেলের নজরে রয়েছে বহু রেল স্টেশন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভ্যাবলা হল্ট, বসিরহাট, মতনিয়া আনন্দপুর, মধ্যমপুর, নিমদানরি, টাকি রোডের স্টেশনগুলির যাত্রীদের সুবিধা হবে এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার যাত্রীদের জন্য আরও বেশি ট্রেন পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় রেলপথ অর্থাৎ লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা লাইনটি গঙ্গাসাগর, বকখালি এবং হেনরিস আইল্যান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ ও পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এর ফলে আগামী দিনে এই জায়গাগুলিতে পর্যটকদের ভিড় আরও বেশি করে দেখা যাবে বলে অনুমান।
এই রুটের সক্ষমতা ব্যবহারের হার ১০৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে, ফলে একটি লাইন হওয়ায় বড় বাধা সৃষ্টি করছে। ডাবলিং কাজ সম্পন্ন হলে উদয়রামপুর, কলওয়ান হাল্ট, করঞ্জলী হাল্ট, নিশ্চিন্দপুর, কাশীনগর হাল্ট, কাকদ্বীপ, উকিলের হাট প্রভৃতি স্টেশনগুলির যাত্রীদের জন্য যাতায়াত আরও সহজ ও দ্রুত হবে। সেইসঙ্গে পর্যটকরা সুন্দরবন অঞ্চলে যেতে আরও বেশি উৎসাহিত হবেন বলে কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। ট্রেন চলাচল হবে আরও নিরাপদ, সীমিত সময় ও নির্ভরযোগ্য, যার ফলে যাত্রার অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত এবং আরামদায়ক। এই প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন ফিজিবিলিটি পরীক্ষা ও বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট প্রস্তুতির উপর নির্ভর করবে।