বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ দুজনেই বর্তমানে বড্ড চিন নির্ভর। বিশেষত, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই ড্রাগনের সাথে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে বাংলাদেশের। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের দেখানো পথে হেঁটেই ওপার বাংলায় প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে ড্রাগন। এবার সেই সূত্রেই, চিনের কাছ থেকে 20টি নতুন J-10CE যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে বাংলাদেশ (Bangladesh To Buy Fighter Jets)। যা খবর, চলতি বছর শেষের আগেই বেইজিংয়ের সাথে 220 কোটি ডলারের চুক্তি হবে ঢাকার।
আগামী 10 বছরে বাংলাদেশকে যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে চিন
ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি যুদ্ধবিমান পিছু 6 কোটি টাকা খরচ করে খুব শীঘ্রই চিনের সাথে 20টি J- 10CE যুদ্ধবিমানের চুক্তি করবে ইউনূসের দেশ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে কমিটি। সূত্রের খবর, প্রতিটি যুদ্ধবিমানের সাথে পরিবহন সহ অন্যান্য খরচ জুড়ে দেবে ড্রাগন।
শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের সাথে 20টি যুদ্ধবিমানের চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে চিনের শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে। বলা বাহুল্য, গত মার্চ মাসে চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা। শোনা যায়, সেখানে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দুই দেশের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি যুদ্ধবিমান নিয়েও আলোচনা চলেছিল ইউনূসের। এবার সেই মতোই, চুক্তির ভিত্তিতে আগামী 10 বছরে বাংলাদেশকে 20টি উন্নত যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে চিন।
অবশ্যই পড়ুন: মাঠেই মেজাজ হারালেন পৃথ্বী শ, ব্যাট হাতে তেড়ে গেলেন মুশিরের দিকে! কী হয়েছিল?
প্রসঙ্গত, চিনের কাছ থেকে উন্নত যুদ্ধবিমান কেনার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এএনএম মুনিরউজ্জামান জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের বায়ুসেনা বহুদিন ধরেই নতুন যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করছিল। সেই মতোই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’ তাঁর দাবি, ‘বর্তমানে গোটা বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশ যেভাবে পাল্টে যাচ্ছে তাতে অন্য দেশের কাছ থেকে বিমান কেনার আগে সমস্ত দিক বিশ্লেষণ করে নেয়া উচিত।’ এদিকে, দেশের স্বার্থে চিন থেকে 20টি যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে ইউনূসের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ওপার বাংলার অনেকেই!