প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: একের পর এক নিম্নচাপ-ঘূর্ণাবর্তের প্রকোপ এসেই চলেছে বাংলায়। পুজোর মরশুমেও রেহাই দেয়নি কাউকে। এদিকে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বর্ষা (Weather Update) বিদায় নিচ্ছে না কিছুতেই। বরং নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যে, যায় ফলে বিপর্যস্ত হচ্ছে জনজীবন। আর এবার বর্ষা নিয়ে বড় আপডেট দিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ১২ থেকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা বিদায় নিতে চলেছে। যার ফলে আকাশ মেঘমুক্ত থাকবে এবং ধীরে ধীরে নামবে তাপমাত্রার পারদও। অন্যদিকে ১০ থেকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকেও বর্ষা বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। অর্থাৎ হিমের পরশ লাগল বলে। যার ফলে আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা ২০ থেকে ২২ ডিগ্রির আশেপাশে পৌঁছবে। পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলের জেলার তাপমাত্রা পৌঁছবে ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রির ঘরে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কেমন থাকবে আগামীকালের আবহাওয়া।
দক্ষিণবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুধু বৃষ্টি নয় তার সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। নতুন করে যদি বঙ্গোপসাগরে আর কোনো সিস্টেম তৈরি না হয় তাহলে আপাতত আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: বাংলায় SIR নিয়ে তুঙ্গে প্রস্তুতি! দক্ষিণবঙ্গে একাধিক বৈঠক কমিশনের
উত্তরবঙ্গে আগামীকালের আবহাওয়া
গত শনিবার পাহাড়ি এলাকায় টানা ঝড়-বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের অবস্থা খুবই শোচনীয়। ভূমিধসের ফলে রাস্তাঘাটের খুবই শোচনীয় অবস্থা। সেই সঙ্গে ভুটান পাহাড়ে অনবরত বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির একটি বড় অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো উদ্ধার কার্য চলছে। তার সঙ্গে ত্রাণ বিলিও চলছে সমান তালে। এমতাবস্থায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা সেখানে এই মুহূর্তে নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে।