প্রীতি পোদ্দার, বীরভূম: হাতে বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। এরপর বছর ঘুরলেই শুরু হতে চলেছে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই কোমর বেঁধে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীদল থেকে শুরু করে শাসকদল। ভোটের মেজাজ জানার জন্য ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ছাব্বিশের ভোট নিয়ে শঙ্কায় পড়তে দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। তাঁকে বলতে শোনা গেল, এবারের ভোট নাকি খুব টাফ হবে।
বোলপুরে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠান
গতকাল অর্থাৎ বুধবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বীরভূম জেলার কোর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল-সহ কোর কমিটির ৯ সদস্য। এছাড়াও বিজয়া সম্মেলনীতে বীরভূমের অন্যান্য এলাকার বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, পুরসভাগুলির চেয়ারম্যান, অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের সদস্যরা-সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন ৷ তবে এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন না কাজল শেখ৷ জানা গিয়েছে, পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকায় উপস্থিত থাকতে পারেনি এদিন।
দলীয় কর্মীদের সতর্ক করল কেষ্ট
এদিন অনুব্রত মণ্ডল বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে জানান যে, SIR নিয়ে বিএলওদের নিয়ে বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি মিটিং ডাকা হবে। এছাড়াও আগামী ১১ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বীরভূমের ২৭ টি জায়গায় বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করা হয়৷ স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কোর কমিটির সদস্যরা যে যেখানে সময় পাবেন, যাবেন। তবে এবারের নির্বাচন যে খুব কঠিন হতে চলেছে সেটা স্বীকার করে নিলেন অনুব্রত। এদিন মঞ্চে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, “আমরা যাঁরা নেতা তাঁরা মুখে বলেই খালাস। আসল কাজটা করেন ব্লক, অঞ্চল সভাপতি, দলের কর্মীরা ৷ ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করতে বীরভূম থেকে ১১ টা আসনই জিততে হবে। যদি নিজেদের মধ্যে কোনও ঝগড়াঝাটি থাকে, আলোচনা করে মিটিয়ে নিন৷ কারণ এবার ভোট কিন্তু খুব টাফ৷ মহিলারাই আমাদের মূল শক্তি। তাঁদের বেশি করে যুক্ত করুন।”
আরও পড়ুন: টেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই হল কাল! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বীরভূমের শিক্ষকের
অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তিনি বলেন, “বিহারে দেখলেন কীভাবে SIR হল, বিহারে ১০ থেকে ১২ শতাংশ ভোট এদিক-ওদিক করেছে ৷ অর্থাৎ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সব করতে পারে। সেই কারণে বিহারের মানুষ নীতিশ কুমারের সরকারের উপর ক্ষুব্ধ ৷ এখানেও এসআইআর করবে ৷ সাবধান, এখানেও ভোট এদিক-ওদিক করতে পারে। তাহলে যত ভালোই ভোট করুন, জেতা মুশকিল হবে।” অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে খুব একটা সহজ হচ্ছে না।