ধৃত শাহনূর, তোফায়েল! নাগরাকাটা হামলা কাণ্ডে ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

Published:

Khagen Murmu nagrakata
Follow

প্রীতি পোদ্দার, নাগরাকাটা: উত্তরবঙ্গে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু (Khagen Murmu) ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরম আকার ধারণ করে। এমতাবস্থায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর রক্তক্ষয়ী হামলায় অবশেষে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খগেন মুর্মু

উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে দুর্গতদের পাশে থাকার জন্য এবং ত্রাণ বিলি করার জন্য নাগরাকাটা এলাকায় ঢুকতেই বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা চালায় কয়েকশো দুষ্কৃতী। রক্তাক্ত অবস্থায় খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অল্প চোট থাকার কারণে শঙ্কর ঘোষকে হাসপাতালে থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে খগেন মুর্মুর চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সে। এই আবহে খগেনকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, সুকান্ত মজুমদাররা। এদিকে সাংসদের ওপর হামলায় ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এবার সেই হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হল মোট ৪ জন।

গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ৪

খগেন মূর্মু এবং সংকর ঘোষের হামলার ঘটনায় মোট আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পর অবশেষে তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গতকাল তখনও বাকি ছিল আরও ৬ জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুইজনের নাম আকরামূল হক ও গোবিন্দ শর্মা। এবার সেই ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ। ধৃতদের নাম শাহানুর আলম ও তোফায়েল হোসেন। পুলিশ পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গতকাল, বুধবার গভীর রাতে, প্রায় ৩টা নাগাদ নাগরাকাটা এলাকা থেকেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার! জল খেয়েই কাটাতে হচ্ছে দিন, ত্রাণ না পাওয়ায় বিক্ষোভ ধূপগুড়িতে

এদিকে এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুমুল আকার ধারণ করেছে। হামলার এই ঘটনায় বিজেপি সম্পূর্ণভাবে দায়ী করছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে তৃণমূলের দাবি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সর্বস্ব হারিয়ে সাধারণ মানুষই ক্ষুব্ধ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাই এই হামলার নিন্দা জানায় তৃণমূল। অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে যেহেতু রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি তাই এখনই অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অন্তত ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হতে পারে খগেন মুর্মুকে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join