বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হওয়ার পথে উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসা বোর্ড (Madrasa Board Uttarakhand)! বড় পদক্ষেপ নিতে চলল উত্তরাখণ্ড সরকার। জানা যাচ্ছে, মাদ্রাসা বোর্ড উঠিয়ে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতেই এমন পদক্ষেপ নিতে চলল রাজ্যটির সরকার। আকাশবাণীর সংবাদ বিভাগ News On Air এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল 2025 এ অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিং।
উত্তরাখণ্ডের শিক্ষা ব্যবস্থায় আসবে বিপ্লব!
সংখ্যালঘুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত করার যে পদক্ষেপ, তাকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তাঁর কথায়, ‘আমাদের লক্ষ্য হল রাজ্যের প্রতিটি শিশু জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে যাতে সমান শিক্ষা এবং সুযোগ পায় সেটা নিশ্চিত করা।’ রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘2026 সালের জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষেই রাজ্যের সমস্ত সংখ্যালঘু বিদ্যালয়ে জাতীয় পাঠ্যক্রম এবং নতুন শিক্ষানীতির উপর ভিত্তি করে শিক্ষাদান করা হবে। এই উদ্যোগ কেবল শিক্ষার মানই বৃদ্ধি করবে না, সেই সাথে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের মূল ধারার অংশ করে তুলবে।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরাখণ্ড সরকারের এমন পদক্ষেপ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরাট বিপ্লব ঘটাবে।
অবশ্যই পড়ুন: প্রেস কনফারেন্সে ঢুকতেই দেওয়া হল না মহিলা সাংবাদিকদের! দিল্লিতেও তালিবানের নারী বিদ্বেষ
বিল কার্যকর হলেই মাদ্রাসাগুলিকে এই সব নিয়ম মেনে চলতে হবে
সংখ্যালঘুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যুক্ত করতে যে উত্তরাখন্ড সংখ্যালঘু শিক্ষা বিল 2025 এ রাজ্যপালের অনুমোদন মিলেছে। সেই বিল একবার কার্যকর হয়ে গেলেই বেশ কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলিকে। কী সেই নিয়ম।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিল কার্যকর হলে প্রথমেই উত্তরাখণ্ডের সমস্ত মাদ্রাসাকে রাজ্যটির সংখ্যালঘু শিক্ষা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্বীকৃতি নিতে হবে। সরকার যেহেতু সংখ্যালঘুদের শিক্ষা নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কাজেই এই স্বীকৃতি পেতে সমস্যা হবে না। এছাড়াও, প্রত্যেকটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে তাদের মাদ্রাসা উত্তরাখণ্ড বোর্ড অফ স্কুল এডুকেশনের তালিকার সাথে যুক্ত করতে হবে। এভাবেই, উত্তরাখণ্ডের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে সাধারণ ধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হতে পারবেন। বলে রাখি, দেশের মধ্যে এমন পদক্ষেপ কিন্তু উত্তরাখণ্ডেই প্রথম।