সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: টানা বিপর্যয়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মানুষজন সর্বস্ব হারিয়েছেন। ডকুমেন্ট থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি, একেবারে সব বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে কূলকিনারা নেই উত্তরবঙ্গের মানুষজনদের। মূলত বৃষ্টিপাত, ভূমিধসে লন্ডভন্ড সবকিছু। কোথাও ভেঙে গেছে রাস্তা, কোথাও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে একাধিক বাঁধ। তবে এই অবস্থায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। আর এবার তা নিয়েই সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
কী বললেন বিরোধী দলনেতা?
আজ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, বৃষ্টি আর ভূমিধসে উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত। সাধারণ মানুষের দুঃসময়ে কার্নিভালের উৎসব উদযাপন করছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর উনার পুলিশ বাহিনীকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় অথবা তার পরের দিন মাঠে ময়দানে তো কোথাও খুঁজেই পাওয়া যায়নি। আবার তারাই হীরক রানীর সফরের আগে ওনাকে স্বাগত জানানোর জন্য তৃণমূলের পতাকা ঠিকঠাক লাগানো রয়েছে কিনা তা তদারকি করছে।
প্রকৃতির রোষের মুখে সব হারানো মানুষগুলোর প্রতি দায়বদ্ধতা আর পরিষেবার বেলায় মমতার পুলিশের একেবারে লবডঙ্কা অবস্থা। পরিত্রাতা হিসেবে এনডিআরএফ আর ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরাই পাশে ছিলেন। আসলেই পুলিশ পুরো তৃণমূলীকরণ হয়ে গেছে। পুলিশ এখন সম্পূর্ণ ভাবে শাসকদলের আওতায়। দায়িত্ব সামলানোর বেলায় লবডঙ্কা।
মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের মানুষের দুঃসময়ে কার্নিভালের উৎসব উদযাপনে নির্বিকার নৃত্যে মেতে থাকা হীরক রানী এখন পাহাড়ে প্রমোদ ও বিলাসবহুল অবসর যাপনের ঝটিকা সফরে যাবেন।
ওনার পুলিশ বাহিনী কে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে অথবা তার পরের দিন মাঠে ময়দানে খুঁজে পাওয়া… pic.twitter.com/JDugRnLeBU— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 11, 2025
আরও পড়ুনঃ ভারতের হকের এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে ACC কর্তাদের বড় নির্দেশ মহসিন নকভির
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে বন্যা এবং ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে টানা কয়েকদিন ধরে ত্রাণ আর পুনর্গঠন কার্যক্রম কিছুটা হলেও অগ্রগতি হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরিয়ে আনার জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর এবং জেলা প্রশাসন একযোগে কাজ করছে। এমনকি সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র চালু করার। পাশাপাশি আশ্রয়শিবির, রান্নাঘরও তৈরি হচ্ছে। এর পাশাপাশি দুর্গম অঞ্চলগুলিতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলের উৎস, পুকুর ও মাছের ঘের আবারও জীবন মুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে, যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়। তার মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এরকম প্রশ্ন আবারও শাসকদলের দিকে আঙুল তুলল।