শুধুমাত্র একটি ছাত্রীর জন্য ৩ বছর চলেছিল ট্রেন! রেলের এই ঘটনা জানেন?

Published:

Indian Railways
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমানে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) উপর নির্ভর করে না, এমন লোক খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। অফিস যাতায়াত বলুন কিংবা বেড়াতে যাওয়া বা নিত্য প্রয়োজনীয় যাতায়াত, রেলই আমাদের একমাত্র ভরসা। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ রেলের উপর নির্ভর করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছয়। এমনকি এক-একটি ট্রেন মোটামুটি হাজারের বেশি যাত্রী বহন করে। তবে আপনাকে যদি বলি যে একটি ট্রেনে মাত্র একজন যাত্রী যাতায়াত করত, তাহলে কেমন হবে, তাও টানা তিন বছর ধরে? হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও একেবারে সত্যি। এমনই এক ঘটনা তুলে ধরব আজকের প্রতিবেদনে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতে 13 হাজারেরও বেশি ট্রেন চলে। এর মধ্যে শতাব্দী এক্সপ্রেস, জন শতাব্দী এক্সপ্রেস, রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো সব দ্রুতগতির ট্রেন রয়েছে। 24 কোচের ট্রেনে মোটামুটি 1200 থেকে 1400 যাত্রী যাতায়াত করতে পারে। তবে উৎসবের মরসুমে সেই সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে দীপাবলি আর ছট পুজোর কারণে ট্রেনগুলোতে পা ফেলার জায়গা থাকছে না। এমনকি টিকিট পাওয়ার জন্য মানুষ হয়রানি শিকার হচ্ছে। তবে এই প্রতিবেদনে যে গল্পটি বলব, তা সম্পূর্ণই আলাদা। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

একজন যাত্রীকে নিয়েই ছুটত আস্ত একটা ট্রেন

ঘটনাটি ঘটেছিল জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপে। মূলত একজন ছাত্রী অর্থাৎ শিক্ষার্থীর জন্যই দীর্ঘ সময় ধরে একটি গোটা ট্রেন চালাতে হয়েছিল জাপান রেলওয়েকে। 2016 সালের ঘটনা। সে সময় ওই হোক্কাইডো দ্বীপের কিউ-শিরাতাকি স্টেশনটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসাবে জানানো হয়েছিল, ওই স্টেশন দিয়ে কোনও যাত্রী যাতায়াত করত না, আর স্টেশনটির রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছিল। তবে সে সময় স্টেশনটি দিয়ে একমাত্র একটি কলেজ ছাত্রী যাতায়াত করত।

জানা যায়, ওই ছাত্রীর নাম কানা হারাদা, যে একটি কলেজে গ্রাজুশন করছিল। তবে কলেজে যাতায়াতের জন্য ওই ট্রেনই ছিল একমাত্র তার ভরসা। তাই সে জাপান রেলওয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, যদি স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যায় আর ট্রেনটি না থামে, তাহলে তার কলেজে পৌঁছনো হবে না এবং তাঁর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমতাবস্থায় তাঁর শিক্ষার গুরুত্বকে বিবেচনা করেই জাপান রেলওয়ে তাঁকে তিন বছর একা ভ্রমণ করিয়েছিল একটি গোটা ট্রেনে।

আরও পড়ুনঃ UPI দিয়েই করা যাবে স্কুলের ফি পেমেন্ট, চালু হল নয়া পরিষেবা

হ্যাঁ, তিন বছর ধরেই ওই স্টেশনটি খোলা রাখা হয়েছিল আর বেশিরভাগ সময় ওই ছাত্রী ছাড়া আর কোনও যাত্রী ওই স্টেশন দিয়ে ট্রেনে উঠত না। প্রতিদিন সকালবেলা এবং সন্ধ্যেবেলা ট্রেনটি শুধুমাত্র ওই একজন ছাত্রীকেই তুলে আবার নামিয়ে দিত। এমনকি ওই দ্বীপের জনসংখ্যাও দিনের পর দিন হ্রাস পাচ্ছিল। একসময় তা মাত্র 36 জনে নেমে এসেছিল। তাই 3 বছর পর জাপান রেলওয়ে ওই স্টেশনটিকে বন্ধ করে দেয়।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join