সেদিন রাতে কী হয়েছিল? অভিযোগপত্রে নারকীয় অভিজ্ঞতার কথা জানাল দুর্গাপুরের নির্যাতিতা!

Published:

Durgapur
Follow

প্রীতি পোদ্দার, দুর্গাপুর: গত শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের (Durgapur) এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যায় এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা। রাতের বেলায় এক সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে নির্যাতনের শিকার হন ওই কলেজে পাঠরত ওড়িশা বাসিন্দা ডাক্তারি ছাত্রী। ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এমতাবস্থায় তিন-চার লাইনের বয়ান দিলেন দুর্গাপুরকাণ্ডের ‘ধর্ষিতা’ ডাক্তারি ছাত্রী।

প্রকাশ্যে এল দুর্গাপুরের নির্যাতিতার বয়ান

জানা গিয়েছে দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজে ওই ঘটনার পর কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে তিন-চার লাইনের লিখিত বয়ান জমা দেন দ্বিতীয় বর্ষের নির্যাতিতা ডাক্তারি ছাত্রী। যেটা দায়িত্ব সহকারে পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। ধর্ষিতা’ ডাক্তারি ছাত্রী জানিয়েছেন, রাত ৮টা থেকে ৮টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে গোটা ঘটনা ঘটেছে। বন্ধুর সঙ্গে তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে হাঁটছিলেন। সেই সময় হঠাৎই ঘিরে ধরেন তিন জন যুবক। সঙ্গে সঙ্গে ওই তরুণী তাঁর কলেজের বন্ধুদের ফোন করে খবর দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর ফোনটি কেড়ে নেওয়া হয়। পরে আরও দু’জন আসেন। সব মিলিয়ে পাঁচ জন মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন। অভিযুক্তেরা নাকি তরুণীকে পরে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ফোন ফেরত নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়।

বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার

এই ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা গতকাল অর্থাৎ রবিবার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন যেখানে ওই সহপাঠী বন্ধুর প্রসঙ্গ তোলা হয়। তিনি অভিযোগ করেন গোটা ঘটনার সঙ্গে ওই সহপাঠীও জড়িত। যদিও তদন্তকারীদের তরফে প্রশ্ন উঠছে যে, বান্ধবী বিপদে পড়েছেন দেখেও তাঁকে ফেলে রেখে সহপাঠী-বন্ধুটি যে ভাবে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তাতে নানা প্রশ্ন ওঠারই কথা। ওই বন্ধুটি পালিয়ে গিয়ে কলেজ থেকে অন্য বন্ধুদেরও ডেকে নিয়ে কেন যাননি সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে তদন্তকারীদের একাংশের মনে। তবে আপাতত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: “ফতোয়া জারি করুন, নইলে পদত্যাগ করুন!” মমতাকে আক্রমণ দুর্গাপুরের নির্যাতিতার বাবার

এদিকে রবিবার নির্যাতিতার বাবা জানান, তাঁর সঙ্গেও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি সবরকম ভাবে সাহায্যের আশ্বাসও নাকি দিয়েছেন। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি, যাতে মেয়েকে এখান থেকে ওড়িশায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এই জায়গার উপর থেকে ভরসা উঠে গিয়েছে। মেয়েকে মেরেও ফেলতে পারে। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কোনও ব্যবস্থাই নেই এখানে।’’

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join