ঘৃণ্য অপরাধকে প্রশ্রয় নয়! দুর্গাপুর কাণ্ডে পালাতে চাওয়া ধর্ষক দাদাকে ধরিয়ে দেয় খোদ বোন

Published:

Durgapur
Follow

প্রীতি পোদ্দার, দুর্গাপুর: গত ১০ অক্টোবর, শুক্রবার রাতে ওড়িশার বাসিন্দা তথা দুর্গাপুরের (Durgapur) শোভাপুর এলাকায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী তাঁর এক সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় কলেজের অদূরে কয়েকজন যুবক ওই তরুণীকে প্রথমে হেনস্থা করেন। তারপর টেনে হিঁচড়ে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করে। আর সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক অন্দরে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। এমতাবস্থায় দুর্গাপুর ধর্ষণের মূল অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিল তার বোন।

বোনের সাহসিকতায় ধরা পড়ল ধর্ষক দাদা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে গত শনিবার দুর্গাপুরের মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই শেখ রিয়াজউদ্দিন, শেখ ফিরদৌস এবং আপ্পুকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আদালতের তরফে ওই তিনজনকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই গত রবিবার রাতে দুর্গাপুর পুরনিগমের অস্থায়ী এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু তখনও অধরা ছিল পঞ্চম অভিযুক্ত। তবে এবার অভিযুক্তের বোনের সহায়তায় ধরা পড়ল ধর্ষক দাদা। ভয় পেয়ে, রাতের বেলা বোনের সাথে দেখা করে পালাতে চেয়েছিল অভিযুক্ত, কিন্তু তার বোন নিজের উপস্থিত বুদ্ধিকেতকাজে লাগিয়ে পুলিশকে সহায়তা করে ধরিয়ে ফিল দাদাকে।

পুলিশের সঙ্গে গভীর পরিকল্পনা

রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্গাপুরের ধর্ষণ কাণ্ডে পঞ্চম অভিযুক্ত শফিক শেখকে গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে বোন রোজিনা শেখের সঙ্গে দেখা করে পালাতে চেয়েছিলো অভিযুক্ত শফিক, কিন্তু তার বোন চেয়েছেন যে তার দাদা এই ঘৃন্য কাজের জন্যে চরম শাস্তি পাক। তাই পুলিশ-গোয়েন্দাদের প্রধান ইনফর্মার হিসেবে কাজ করে তীক্ষ্ম অপারেশনের মাধ্যমে দাদাকে দুর্গাপুরের আণ্ডাল ব্রিজের নীচে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেন বোন। একজন মেয়ে হয়ে আরেকজন মেয়ের জাস্টিসের জন্যে সততার পরিচয় দিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করায় সকলেই তাঁর প্রশংসা করেছেন।

আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ! অন্তঃসত্ত্বা ১, ধৃত অভিযুক্তরা

প্রকাশ্যে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট

অভিযুক্তের বোন রোজিনা শেখ বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম ভাই আইনের মুখোমুখি হোক। তার জন্য আমাদের পরিবারের লজ্জার ভাগিদার হওয়া উচিত নয়।’ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে দুর্গাপুরে গণধর্ষণের শিকার ডাক্তারি পড়ুয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্নের উল্লেখ করা হয়েছে। সঙ্গে যৌনাঙ্গ দিয়ে ব্যাপক রক্তপাতেরও উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ষণের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টেই। ধৃতদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে এই মামলায়। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে, ফলাফল এখনও আসেনি।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join