প্রীতি পোদ্দার, নৈহাটি: মা দুর্গার উৎসব পর্ব মিটে যাওয়ার পর কাউন্টডাউন শুরু হয় কালীপুজোর। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত মধ্যমগ্রাম যেমন মা কালী পুজোর জন্য বিখ্যাত, ঠিক তেমনই নৈহাটির (Naihati) ‘বড়মা’-কে দেখতে লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভিড় সামলানোই প্রশাসনের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এবার আপৎকালীন পরিস্থিতি ঠিক রাখতে নেওয়া হল এক বড় পদক্ষেপ।
নৈহাটি স্টেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
যেহেতু প্রতি বছর কালীপুজোতে বড়মাকে দর্শন দেওয়ার জন্য ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে, তার ফলে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকা জুড়ে। তাই এবার সেই বিপদ থেকে শিক্ষা নিয়ে আরপিএফ এবং রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছে যে আগামী ১৯ অক্টোবর অর্থাৎ রবিবার থেকে পুজোর দিনগুলিতে নৈহাটি লোকাল এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে না। ওই দিনগুলিতে নৈহাটি লোকাল ৫ এবং ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে। এছাড়াও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে সমস্ত দর্শনার্থী বড়মাকে দর্শন করতে ট্রেনে চেপে আসবেন, তাদের সাবওয়ে ব্যবহার করতে হবে। সাবওয়ে দিয়ে বেরিয়ে সোজা অরবিন্দ রোডে ঢুকবেন সেই সমস্ত দর্শনার্থীরা। তবে ব্যবহার করা যাবে না নৈহাটি প্ল্যাটফর্মের পূর্ব দিকে একটি বহু পুরোনো ফুট ওভারব্রিজ।
কী বলছেন পুলিশ কমিশনার?
এদিন বৈঠকের পর বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা বলেন, “স্টেশন থেকে ‘ওয়ানওয়ে সার্কুলেশনের’ মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণ হবে। ওই দিনগুলিতে সাবওয়ে দিয়ে রেলযাত্রীরা বেরোবেন। ট্রেন ধরার জন্য স্টেশনের দক্ষিণদিকের ফুটব্রিজ ব্যবহার করতে হবে। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে নৈহাটি লোকাল ছাড়বে না।” তিনি আরও বলেন, “অতিরিক্ত লোকাল ট্রেন চালানোরও আবেদন করা হয়েছে। পুজোর ক’দিন রেল, ডিএমজি, ফায়ার, ইলেকট্রিক, পিডব্লিউডি-সহ অন্যান্য দপ্তর নিয়ে জয়েন্ট কন্ট্রোল রুম থাকবে, যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”
আরও পড়ুন: ঘৃণ্য অপরাধকে প্রশ্রয় নয়! দুর্গাপুর কাণ্ডে পালাতে চাওয়া ধর্ষক দাদাকে ধরিয়ে দেয় খোদ বোন
অন্যদিকে প্রতি বছরের মতো এবারও সিসিটিভি-সহ বহু স্বেচ্ছাসেবক থাকছে। বড় কালীপুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, “এবার তিনশোর বেশি স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন মণ্ডপ- সহ এলাকায়। ৮০টির বেশি সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চলবে। এছাড়াও গঙ্গার ঘাট, মন্দির ও নৈহাটি স্টেশন চত্বরে একটি করে এলইডি থাকবে।” সোমবার নৈহাটি রেল স্টেশন-সহ সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মুরলীধর শর্মা। আরপিএফ, রেলপুলিশ ও পূর্ব রেলের কর্তাদের পাশাপাশি ছিলেন রাজ্যের দমকল বিভাগ, পূর্ত দপ্তর ও নৈহাটি পুরসভার কর্মকর্তারাও।