সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বন্যা বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শনিবার মিরিকে পৌঁছে দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিভিন্ন দপ্তরের সচিব, শীর্ষ আধিকারিক সহ প্রশাসন। সেখান থেকেই বড়সড় ঘোষনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। চাকরি থেকে শুরু করে আর্থিক সাহায্য, সেতু নির্মাণ, একাধিক ঘোষণা করেছেন মমতা।
বড়সড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মিরিক থেকে আজ মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের সিভিল এডমিন দারুণ কাজ করছে। এত তাড়াতাড়ি কাজ এগোয় না। আমাদের অফিসার, আধিকারিক, শ্রমিক সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। স্থানীয় মানুষও পাশে থেকে সাহায্য করছে। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। যারা বিপর্যয়ে সমস্ত কিছু হারিয়েছেন, তাদের পাশে সরকার রয়েছে। কেউ কোনও চিন্তা করবেন না। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাত দিনের মধ্যেই চাকরির নিয়োগ আর ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী নাগরাগাটায় নিজেই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে নিজের হাতেই ত্রাণ বিলি করেছেন। পাশাপাশি সেখানে সাতজনের হাতে হোমগার্ড পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করেন। এমনকি ওই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য স্বাস্থ্য ক্যাম্প ও ডকুমেন্ট পুনরুদ্ধারের ক্যাম্পও চালু করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। যাদের কাগজপত্র হারিয়েছে, তাদের সাত দিনের মধ্যেই কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়া হবে।
মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে আজ মিরিকে গিয়ে মৃত পরিবারগুলোর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দেখা করেছেন। সূত্রের খবর, মিরিকে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন দ্বিজেন্দ্র রায় (৬৫) ঊষা রায় (৬০) এবং সাতমা লামা (৩৫)। মুখ্যমন্ত্রী তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পশুপতি ফাটকের কাছে লামাহাটার মতো একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। আর সেখানে শুটিং এর সুযোগ এবং হোম-স্টের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুনঃ দেশে থাকবে মাত্র ৩টি সরকারি ব্যাঙ্ক, বড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র
এছাড়া তিনি বলেছেন, মিরিকে অস্থায়ী সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে আগামী সাত দিনের মধ্যেই। তার জন্য পূর্ত দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর আগামীকাল ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের মিটিং করবেন বলে খবর। সেখানে বাড়ি ও রাস্তা পুনর্গঠনের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ সময় রাজনীতিকে পাশে সরিয়ে একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাহায্য করার আহ্বায়ন জানিয়েছেন।