সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দাদাগিরি যেন কিছুতেই কমছে না। এবার বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসে মন্দিরের জমি দখল করেই বাড়ি নির্মাণ করা শুরু করল এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। রাজগঞ্জের (Rajganj) এই ঘটনা নিয়ে গোটা এলাকায় উত্তেজনা তুঙ্গে। এমনকি ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা দল বেঁধে বিডিও অফিসের দ্বারস্থ হয়েছে।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী খবর, ঘটনাটি ঘটেছে রাজগঞ্জের কুকুরজান অঞ্চলের কাঞ্চনসিড়ি গ্রামে। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে এক শিক্ষক এ দেশে এসেছিলেন। তারপরেই সেখানকার কালী এবং হরি মন্দির দখল করে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন তিনি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শিবচরন রায় নামের ওই শিক্ষক মন্দিরের জমিতে কংক্রিটের পিলার এবং মেঝে তৈরি করে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছেন। এমনকি অভিযোগকারীরা বারবার জানালেও তিনি জমির কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা মঙ্গলবার বিকেলে রাজগঞ্জ বিডিও এবং বিএলআরও-র কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এমনকি প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সোমবার আধিকারিকরা জমির পরিমাপ করতে এসেছিলেন। আর সেখান থেকেই বিক্ষোভ আরও চরমে ওঠে। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়ে রাজগঞ্জের বিডিও গোপাল বিশ্বাস জানিয়েছেন, কালীপুজোর পর এ বিষয়ে আলোচনায় বসা হবে। এমনকি উভয় পক্ষকে জমির কাগজপত্র নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘চারজন মিলে জামা ছিঁড়ে …!’ দিল্লির আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গণধর্ষণের চেষ্টা
গ্রামবাসীদের অভিযোগ
প্রশান্ত রায় নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে আসা ওই ব্যক্তি মন্দিরের জায়গা অবৈধভাবে দখল করেই বাড়ি নির্মাণ করছে। আজকে আমরা বিডিও অফিসে এসেছি। এখনও পর্যন্ত উনি কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। বিডিও সাহেব বলেছেন, কালীপুজোর পরে এ নিয়ে বসবে। আর উনি নিজেও স্বীকার করেছেন যে, বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। আমরা কালীপুজোর প্যান্ডেল করব, সেই জায়গাটুকুই পাচ্ছি না। কারণ, বাড়ি তৈরির পাথর, ইট, বালি, সিমেন্ট ভর্তি করে রেখেছে। জায়গাটা যাতে পরিষ্কার হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি। আর কালীপুজোর প্যান্ডেল যত তাড়াতাড়ি হয়, সেটাই চাই।