সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমানে দুর্গাপুর (Durgapur) কাণ্ড নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে তোলপাড় অবস্থা। তবে দুর্গাপুর ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ক্যাম্পাসের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেই আবারও ধর্ষণের চেষ্টা নাবালিকাকে। জানা যাচ্ছে, পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তাঁকে পকশো আইন পেশ করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি কী?
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর বেসরকারি মেডিকেল কলেজের পড়ুয়াকে ধর্ষণের অভিযোগে গোটা রাজ্যে প্রতিবাদ আর নিন্দার ঝড় উঠছে। ঠিক সেই আবহেই দুর্গাপুরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বছর ৫৬ এর অভিযুক্ত নিমাই গড়াই। সোমবার রাতে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ এলাকায় সোমবার রাত ৮টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। এমনকি আগের ঘটনা অর্থাৎ দুর্গাপুর বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক কিলোমিটারের মধ্যেই ফের এই ধর্ষণের অভিযোগ।
কে ওই অভিযুক্ত?
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, নিমাই গড়াই একজন হোটেলের কর্মকর্তা। সে ওই দিন রাতে এলাকার একটি বছর বারোর নাবালিকাকে লোভ দেখিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। আর সেখানে নাবালিকাকে নগ্ন করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। জানা যায়, ওই মুহূর্তে বিষয়টি এলাকাবাসীর চোখে পড়ে। তারা ওই বাড়ি ঘেরাও করতেই অভিযুক্ত দরজা খুলতে বাধ্য হয় এবং নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গেই নাবালিকার মা এবং বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘চারজন মিলে জামা ছিঁড়ে …!’ দিল্লির আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গণধর্ষণের চেষ্টা
তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি
এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সাংগঠনিক ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি রাজীব ঘোষ বলেছেন, এই ধর্ষণের খবর পাওয়া মাত্রই অভিযোগ দায়ের করা হয় নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে। এমনকি ওই পরিবারকে সর্বত্রভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এসিপি সুবীর রায় জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহাকুমা আদালতে পকশো আইনে পেশ করা হয়েছে তাকে। আদালত তার জামিনও বাতিল করে দিয়েছে। আর তিন দিনের জন্য তাকে আপাতত জেল হেপাজতে পাঠানো হয়েছে। ১৬ তারিখ ফের তাকে আদালতে পেশ করা হবে।