India Hood Decode: ‘I Love Muhammad’ স্লোগানে জ্বলছে দেশ, এর পেছনে আসল মাষ্টার মাইন্ড কে?

Published:

I Love Muhammad
Follow

Gen Z অতীত, এবার ভারতে শুরু হয়েছে Gen Alpha প্রতিবাদ। “I Love Muhammad” – এই একটা শ্লোগানকে কেন্দ্র করেই সারা দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। উত্তরপ্রদেশ-উত্তরাখন্ড থেকে শুরু করে দিল্লি-মহারাষ্ট্র, এমনকি সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাতেও। ৮ থেকে ৮০, বাচ্চা হোক বা বুড়ো – সমস্ত মুসলিমরাই নেমে পড়েছে রাস্তায়।

কিন্তু, কী এই “I Love Muhammad” প্রতিবাদ? কীভাবেই বা জন্ম নিল এই ট্রেন্ড? কেন এই প্রতিবাদকে বলা হচ্ছে Gen Alpha প্রতিবাদ? প্রায় এক মাসের বেশি পেরিয়ে গেলেও কেন নেভার নাম নিচ্ছে না এই আগুন? তাহলে কি এর পেছনে রয়েছে কোনও বিদেশি মদত? আজ India Hood ডিকোডে আমরা তুলে ধরবো এমন কিছু ভয়াবহ তথ্য, যা মাথা ঘুরিয়ে দেবে আপনার।

দিনটা ছিল ৪ঠা সেপ্টেম্বর। হজরত মহম্মদের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে কানপুরের জাফার ওয়ালি গলিতে একটি শোভাযাত্রা বের করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। আর গলির মুখেই টাঙিয়ে দেয় “I Love Muhammad”-এর একটি ব্যানার।

আর এতেই আপত্তি জানায় স্থানীয় হিন্দুরা। তাদের দাবি, “এখানে হিন্দু-মুসলিম উভয়েই থাকে। রাম নবমীর অনুষ্ঠানও হয়। সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে নতুন পোস্টার মারার নিয়ম চালু করা হচ্ছে।“ কিন্তু, মুসলিম সম্প্রদায় এই ব্যানার সরাতে অস্বীকার করে। ফলে দুপক্ষের মধ্যেই উস্কানিমূলক আচরণ শুরু হয়।

এরপরেই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে হিন্দুরা। পুলিশ হস্তক্ষেপ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আর বোর্ডটি সরিয়ে লাগানো হয় অন্য জায়গায়। ডিসিপি দীনেশ ত্রিপাঠী জানায়, সরকারি নিয়ম অনুসারে ধর্মীয় শোভাযাত্রায় “নতুন রীতিনীতি প্রবর্তন” নিষিদ্ধ। তবে, ব্যানারের জন্য বিশেষভাবে কোনও FIR দায়ের করা হয়নি।

এর পরের দিন অর্থাৎ ৫ই সেপ্টেম্বর, রাওয়াতপুরে মুসলিমরা একটি শোভাযাত্রা করে। আর সেই শোভাযাত্রায় কিছু মুসলিম যুবক  হিন্দুদের ধর্মীয় পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে।

এরপর ৯ই সেপ্টেম্বর, পুলিশ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও রেকর্ডিং জোগাড় করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করে। আর তারপরেই সারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় এক নতুন বিক্ষোভের। ওই দিন থেকেই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলা-শহর থেকে শুরু করে, দেশের অন্যান্য রাজ্যের জেলা এবং শহরেও ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড হতে থাকে #Ilovemuhammad, আর চলতে থাকে দুই ধর্মের বিরুদ্ধে অশ্লীল পোস্ট।

২০শে সেপ্টেম্বর থেকে এই প্রতিবাদ হঠাৎ করেই হয়ে ওঠে হিংসাত্মক। প্রতিবাদের সামনের সারিতে দাঁড় করিয়ে দেওয়া বাচ্চা এবং মহিলাদের, ভাঙচুর করা হতে থাকে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি, আক্রমণ চলে পুলিশ থেকে শুরু করে নিরীহ হিন্দুদের ওপর। উত্তর প্রদেশের বরেলি থেকে শুরু করে গুজরাতের গোধরা, মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে উত্তরাখণ্ডের কাশিপুর, সর্বত্র চোখে পড়তে থাকে হিংসাত্মক আন্দোলন। সারা দেশের মধ্যে বরেলির প্রতিবাদ সবথেকে বেশি হিংসাত্মক ছিল। এই বিক্ষোভে পুলিশের ওপর গুলি চালানো হয়। এতদিন যে প্রতিবাদে শোনা যাচ্ছিল “আই লাভ মুহাম্মদ” শ্লোগান, এবার তার সাথে যোগ হল – “Gustakh-e-Nabi ki ek hi saza, Sar Tan Se Juda”! অর্থাৎ, শরীর থেকে মাথা আলাদা করে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক জায়গায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ, একাধিক জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট।

এরপর ২১শে সেপ্টেম্বর, উত্তরপ্রদেশ সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড অর্থাৎ ATS, এক বড় জালিয়াতি গ্রুপের সন্ধান পায়, যারা গাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। তবে অভিযোগ, তারা এই ফান্ড ত্রাণে না লাগিয়ে নিজেদের ব্যাক্তিগত কাজে ও দেশবিরোধী বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছিল। বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট দিয়ে এই টাকা লখনউতে ঢুকতেই তদন্ত চালিয়ে মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই গ্রুপের মোহাম্মদ আয়ান (২২), জায়েদ নটিয়ার (২২), আবু সুফিয়ান (২২)-কে। এটিএস জানিয়েছে, গ্রীস থেকে একজন অপারেটর এই তিনজনের মাস্টারমাইন্ড হিসাবে কাজ করছিল। অর্থাৎ, I Love Muhammad-এর শিকড় বিদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে এমনটা অনুমান করা হচ্ছে।

এরপর I love Muhammad নামের এই প্রতিবাদের কারণে সারা দেশজুড়ে দায়ের করা হয় একাধিক FIR। ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে এই ঘটনায় প্রায় ১৪০০ জনের বিরুদ্ধে FIR এবং প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এরপর “আই লাভ মুহাম্মদ” ঘটনায় একাধিক FIR এবং গ্রেপ্তারকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন দাখিল করা হয়।

এরপর ২৪শে সেপ্টেম্বর থেকে, I Love Muhammad-এর পাল্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড হতে থাকে #Ilovemahadeb, #iloveram-এর মতো একাধিক পোস্ট। হাজারো মানুষ শিব, রাম, গণেশের ছবি পোস্ট করে ধর্মীয় ঐক্যের বার্তা দেয়।

জানলে অবাক হবেন, নবরাত্রির দিন এই ধরনের স্টোরি পোস্ট করার জন্য গুজরাতের গান্ধীনগরে একটি হিন্দু ছেলেকে মারধর করে মুসলিমরা। আক্রমণ করা হয় গরবা প্যান্ডেলে।

অন্য একটি ঘটনায় লখনউয়ের সিতাপুরের মহম্মদাবাদ এলাকার বানভিরপর গ্রামে শ্লোগান লেখার প্রতিযোগিতায় একটি বেসরকারি স্কুলের হিন্দু ছাত্রদের জোর করে আই লাভ মহম্মদ শ্লোগান লেখানো হয়।

এসবের মাঝেই মহারাষ্ট্রের একজন ব্যক্তি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নামে জোরালো হুমকি দেন। বলেন, “যোগী আদিত্যনাথের সাহস থাকলে এখানে আসুক। আমি তার হ*ত্যা করবো!”

এরপর ২৭শে সেপ্টেম্বর, বরেলিতে বিক্ষোভ উস্কে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ তৌকির রাজা খান সহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পর পুলিশের হাতে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘনিষ্ঠ নাদিম খানের দাবি, দেড় বছর ধরে ভিড় টানতে না পেরে তৌকির প্রভাব হারানোর আশঙ্কায় ছিলেন। “আই লাভ মুহাম্মদ” বিতর্ককে কাজে লাগিয়ে তিনি ধর্মকে ছদ্মবেশ করে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের মুসলমানদের নেতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। ২০২৭ সালের নির্বাচনের আগে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি ও বিএসপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১০ সালেও দাঙ্গা উস্কানির অভিযোগে তৌকিরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

এরপর ৩০শে সেপ্টেম্বর, UP ATS আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে। আর তারপরেই উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, অভিযুক্তরা অডিও এবং ভিডিও বার্তা ব্যবহার করে মানুষকে ‘I love Muhammad’ নিয়ে উস্কানি দিচ্ছিল। এমনকি নিজ নিজ জেলায় বড় আকারের দাঙ্গার প্ল্যানিং করে তৈরি করেছিল একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপও। পাকিস্তানের একটি সংগঠন দ্বারা প্রভাবিত এই অভিযুক্তরা ভারতে শরিয়া আইন প্রয়োগের লক্ষ্যে অমুসলিম ধর্মীয় নেতাদের টার্গেট করছিল।

কিন্তু এই ঘটনা হিংসাত্মক রূপ নিল কেন?

উত্তরপ্রদেশের ছোট একটি গ্রাম থেকে শুরু হলেও এই ঘটনা শীঘ্রই একটি জাতীয় সমস্যার রূপ নেয়, আর এর পিছনে ছিল রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে, ধর্মীয় গুরুদের একাংশ। তাদের মন্তব্য এই ঘটনার ক্ষেত্রে কাজ করেছে আগুনে ঘি ঢালার মতো।

একদিকে AIMIM সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়েইসি এই ঘটনা উস্কে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আই লাভ মুহাম্মদ” বলা অপরাধ নয়। যদি তা হয়, তাহলে আমি যেকোনো শাস্তি মেনে নিতে রাজি।” পাশাপাশি তিনি কানপুর পুলিশকে ট্যাগ করে তাদের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন।

অন্যদিকে কংগ্রেস ও সমাজবাদি পার্টির একাধিক মুসলিম নেতা জনসমক্ষে এই স্লোগানের সমর্থন করেন এবং রাস্তায় নামেন।

শুধু তাই নয়, বরেলির জমা মসজিদের ইমাম মুফতি খুরশিদ আলম সমস্ত মুসলিমদের আহ্বান জানান নিজের বাড়ির সামনে “I Love Muhammad”-এর পোস্টার লাগানোর জন্য। এই আহ্বানকে সমর্থন জানান ইত্তেহাদ-এ-মিল্লত কাউন্সিলের সভাপতি মৌলানা তৌকির রাজা। ওই কাউন্সিলের একজন নেতা ডঃ নাফিসকে একটি ভিডিওয়, পুলিশের হাত কেটে নেওয়ার এবং তাঁকে বিবস্ত্র করার হুমকি দিতে শোনা যায়।

অন্যদিকে, ডোমারিয়াগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক রাঘবেন্দ্র সিং হিন্দুদের উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন “‘আই লাভ মুহাম্মদ’ এবং ‘আমি লাভ মহাদেব’-এর প্রচার কোনও সংঘর্ষের বিষয় নয়… তবে, এখানে, ১০০ কোটি হিন্দু রয়েছে। যদি ২৫ কোটি মোল্লা এবং মৌলবী তাদের সাথে সংঘর্ষের চেষ্টা করে, তাহলে তারা শেষ হয়ে যাবে।“

তবে, সমস্ত মৌলানারাই এই যে হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছেন এমনটা নয়, একাধিক মৌলানা, জামাত রাজা-ই-মুস্তফা এবং ওয়ার্ল্ড সুফি ফোরাম সহ বেশ কিছু ধর্মীয় নেতারা এই সহিংসতার নিন্দা করেছেন, এবং সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ঠিক কী জানিয়েছে?

কানপুরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন যে ব্যানারের জন্য কোনও FIR দায়ের হয়নি। কেবলমাত্র হিন্দুদের পোস্টার ছেঁড়ার কারণে FIR দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, সৈয়দ নগরে যেখানে ব্যানার লাগানো হয়েছিল, সেটি রাম নবমীর শোভাযাত্রার জন্য বিখ্যাত। এই পোস্টার লাগানোর বিষয়টি একটি নতুন রীতি হিসাবে চালু হয়েছে, যা নিয়ে বহু ব্যাক্তি আপত্তি জানিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্যই কিছু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় FIR দায়ের করা হয়েছে। (১০৯, ,১২১(১), ১৩২, ১৯০, ১৯১ (২), ১৯১ (৩), ৩৫২, ৩৫১ (৩), ১৩২, ১২৫, ১২৬ (২), ২২১, ২২৩, এবং ২৯৯)

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনা নিয়ে কী জানিয়েছে?

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, পুলিশকে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন এবং রাজ্য জুড়ে শান্তি বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি, গুজব ছড়ানো এবং ধর্মীয় উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন আম জনতাকে।

ভারতের আইন কী বলছে?

আমাদের ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, অনুচ্ছেদ ১৯(১)(a) আমাদের দেশের সমস্ত নাগরিকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। অনুচ্ছেদ ১৯(২) আমাদের বলে, যদি কোনও মত প্রকাশের ফলে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা হওয়ার প্রবণতা থাকে তবে এই ধরনের মত প্রকাশ নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। অনুচ্ছেদ ২৫ আমাদের জানাচ্ছে, প্রতিটি ব্যক্তির ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতার কথা।

এখনও অবধি আই লাভ মুহাম্মদ নিয়ে যা যা হয়েছে সেই ঘটনা তুলে ধরলাম। কিন্তু, এবার আমরা আপনাদের জানাবো এমন কিছু ঘটনা, এমন কিছু প্রশ্ন, যা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

১। আই লাভ মুহাম্মদ শ্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ মেনে নিলেও, এই সমস্ত আন্দোলনে কোথা থেকে এল Sar Tan Se Juda-র শ্লোগান? এমনকি কীসের এই প্রতিবাদ যা ৭-৮ বছরের বাচ্চাদেরকেও শরীর থেকে মাথা আলাদা করার শ্লোগান দেওয়াচ্ছে? যদি মিছিল শান্তিপূর্ণই হয়, তবে কেন ছোঁড়া হল নবরাত্রির প্যান্ডেলে পাথর? কেন মারা হল পুলিশদের, ছেঁড়া হল জামা?

২। মৌলানা তৌকিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা FIR অনুযায়ী, “জুম্মার নামাজের পর তৌকির বলেছিল, আজ সারা শহরকে অশান্ত করতে হবে। তাতে যদি পুলিশকে মারতে হয় মারতে হবে। মুসলিমদের শক্তি দেখাতে হবে।“ এটা কী ধরনের প্রতিবাদ?

৩। আই লাভ মহম্মদ ঠিক আছে, এতে কোনও খারাপ কিছু নেই। কিন্তু নীচের এই ছবিটা দেখুন, এবং বলুন তো আই লাভ মুহম্মদ-এর তলায় কী লেখা? লেখা আছে – যদি মহম্মদের নামে যুদ্ধ হয়, সেই যুদ্ধে আমাদের মতো ভীতুরাও প্রাণ দেওয়ার জন্য সামনে দাঁড়িয়ে থাকবো। এটা কোন ধরনের ভালোবাসা প্রদর্শন? কীসের যুদ্ধ?

৪। এই প্রতিবাদের পিছনে একটি খেলা আছে বলে মনে করেন জিওপলিটিক্যাল বিশেষজ্ঞ পভনীত সিং। তিনি মনে করেন, এই ঝামেলার মাধ্যমে এটা দেখানো হচ্ছে যে ভারত একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যারা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করে। আর প্ল্যান খুবই সাধারণ – এই নিয়ে বিভিন্ন মৌলানা স্টেটমেন্ট দেবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড হবে, লোক রাস্তায় নামবে, পুলিশ লাঠিচার্জ করবে যাতে এই প্রতিবাদ হিংসাত্মক না হয়ে যায়। আর এই সমস্ত ক্লিপ যখনই দেশের এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শেয়ার হবে, পাকিস্তানের ISI, ওয়েস্টার্ন বিভিন্ন দেশ, বিভিন্ন গালফ দেশ, কিংবা তুর্কি মালয়েশিয়ায় এই সমস্ত জিনিস থিঙ্ক ট্যাঙ্কের মাধ্যমে এটা প্রচার করবে যে ভারতে ইসলামোফোবিয়া তুঙ্গে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের ছবি খারাপ হবে।

৫। সেই ডিপ স্টেটের তত্ত্ব মনে পড়ে? যেখানে আমরা বলেছিলাম নির্বাচনের আগেই দেশে অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। দেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য করা হয় এক একটি গুরুতর প্ল্যান। দেখুন ভোট যত এগিয়ে আসছে, বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দেশে একটা অশান্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, বেশ কিছু মানুষ বিহারের নির্বাচনের আগে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ভোটের ময়দানে ফায়দা লুটতে চাইছেন।

আপনাদের কী মনে হয়? I Love Muhammad প্রতিবাদ নিয়ে আপনাদের মতামত কী?\

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join