প্রীতি পোদ্দার, সিউড়ি: চাঁদার জুলুমবাজির শিকার হল সস্ত্রীক সেনা জওয়ান! বাচ্চাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ভয়ঙ্কর ঘটনার মুখোমুখি হলেন তাঁরা। উৎসবের মরশুমে চাঁদার জুলুমের অভিযোগ প্রায়ই ওঠে৷ কখনও সাধারণ মানুষ, আবার কখনও ব্যবসায়ীরা ক্লাব সদস্যদের জুলুমের শিকার হন৷ এবার চাঁদার জুলুমের শিকার হলেন ভারতীয় সেনার এক জওয়ান৷ ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে৷ যাওয়ার পথে চাঁদা না দেওয়ায় মারধর করা হলো স্বামী-স্ত্রী কে।
ঘটনাটি কী?
রিপোর্ট অনুযায়ী, সেনা জওয়ান গোপীনাথ দত্তের বাড়ি বীরভূমের দুবরাজপুরের বনহরি গ্রামে। ওই সেনা জওয়ান কাশ্মীরে কর্মরত। ছুটিতে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁর ৫ মাসের বাচ্চা রয়েছে। গতকাল অর্থাৎ বুধবার বাচ্চা অসুস্থ থাকায় তাঁকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, টোটোতে করে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সিউড়ির বড়বাগানের ৫-এর পল্লি এলাকায় তাঁদের টোটো পৌঁছতেই স্থানীয় ক্লাব সদস্যরা পথ আটকায়। তাঁদের দাবি কালীপুজোর চাঁদা নেওয়ার জন্য তাঁদের পথ আটকেছিলেন। আর তাতেই পরিস্থিতি বিগড়ে যায়।
অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি পুলিশের
বাচ্চা খুবই অসুস্থ থাকায় সেনা জওয়ান গোপীনাথ দত্ত জানিয়েছিলেন যে তিনি বাচ্চাকে ডাক্তার দেখিয়ে এসে চাঁদা দেবেন। কিন্তু তাঁর এই অনুরোধ, ক্লাব সদস্যরা মানতে চাননি। উল্টে বচসা বেঁধে যাওয়ায় ক্লাব সদস্যরা গোপীনাথকে মারধর করেন। তাঁদের মোবাইল ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি সেনা জওয়ানের স্ত্রীকেও নিগ্রহ করা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় সিউড়ি থানার পুলিশ এবং সেনা জওয়ান ও তাঁর পরিবারের বাকিদের উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বাচ্চাটিকেও ডাক্তারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: কেন বিহার নির্বাচনে প্রার্থী হলেন না? কারণ জানালেন প্রশান্ত কিশোর
ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের সন্ধানে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেনা জওয়ানের স্ত্রী’র অভিযোগ যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সকলকে যেন পুলিশ গ্রেফতার করে। আতঙ্কে ভুগছেন সেনা জওয়ানের পরিবার। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সিউড়ি ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার অনিল দাস জানিয়েছেন যে, ‘আমি খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে যাই। তবে যেটা ঘটেছে, সেটা ঠিক হয়নি। চাঁদা যে তোলা হচ্ছে, সেটা আমি জানতাম না। যারা এ রকম করেছে, তাঁদের শাস্তি পাওয়া দরকার।’ শেষ খবর পাওয়া অবধি এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।