বিজয়া সম্মিলনির মঞ্চে চটুল নাচের আয়োজন, লজ্জায় মঞ্চ ছাড়লেন তৃণমূল বিধায়ক

Published:

Trinamool Congress
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিজয়া সম্মিলনির মঞ্চে গিয়েই মুখ ফিরিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে বাড়ি ফিরতে হল তৃণমূলের বিধায়ককে। হ্যাঁ, তৃণমূলের (Trinamool Congress) মঞ্চে অশালীন নাচ লজ্জায় ফেলে দিল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। আর এ নিয়েই কার্যত গোটা এলাকায় সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলা। এমনকি আটকে যায় অসুস্থ রোগীর গাড়ি। শেষমেষ পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঘটনাটি কী?

রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ভরতপুর থানার কাঞ্চনগড়িয়া গ্রামের বিজয়া সম্মিলনির মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ূন কবীর। বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ তৃণমূলের ওই কর্মসূচি শুরু হয়। আর অনুষ্ঠান চলার কথা ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত। সেখানে ওই বিধায়ক মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এমনকি হাজার হাজার দর্শকরাও ভিড় জমিয়েছিল। মঞ্চে উঠেই বিধায়ক বহরমপুর সাংবিধানিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পিছন থেকে লোক লাগিয়ে কর্মীদের সম্মিলনিতে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কর্মীদের শাসানো হচ্ছে। আমার লেজে পা দিলে আমি বহরমপুরের সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দেব। আমাকে বেশি চটালেই সমস্যা। ইঞ্চি মেপে বদলা নেব।

বিশৃঙ্খলা কী নিয়ে?

আসলে ওই অনুষ্ঠানে বীরভূমের ইউটিউবার সফিকের প্রোগ্রাম হওয়ার কথা ছিল। আর সেজন্যই আশঙ্কার থেকে বেশি পরিমাণে ভিড় জমে। কার্যত হলুস্থল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। পুলিশের পক্ষেও তা সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এরপর যখন ইউটিউবারের অনুষ্ঠান শুরু হয়, তখন পুলিশকেও কার্যত অসহায় দেখায়। তবে অনুষ্ঠানের শুরুতে বিধায়ক মঞ্চেই ছিল। কিন্তু তাঁর সামনেই এক তরুণী মঞ্চে উঠে চটুল নাচ শুরু করে। তরুণীর অঙ্গভঙ্গিতে লজ্জা পেয়েই বিধায়ক মঞ্চ ছেড়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন।

এরপরে শুরু হয় আরও বিশৃঙ্খলা। ভরতপুর লোহাদহ গ্রামীণ সড়ক কার্যত যানজটে আটকে পড়ে। এমনকি একটা সময় ভরতপুর ওসি শিবনাথ মন্ডল মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন ধরে পুলিশ কর্মীদেরকে রাস্তার গাড়ি পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তবে এরপরও বিশৃঙ্খলা থামানো যায়নি। পরে কর্তৃপক্ষকেই বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হয়।a

আরও পড়ুনঃ হবে না দূষণ, চলবে ২৪০ যাত্রী নিয়ে! কোচিতে চালু হচ্ছে ভারতের প্রথম লাইট ট্রাম

কী বললেন বিধায়ক?

অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর বিধায়ক বলেছেন যে, এই অনুষ্ঠানে চটুল নাচ হবে আমি মোটেও জানতাম না। তাই আমি লজ্জায় স্টেজ ছেড়ে নেমে চলে এসেছি। এর জন্য আয়োজকদের কাউকেই আমি ছাড়িনি। দলের জেলা সভাপতি আমার পেছনে লাগতে আসলেও আমি ছেড়ে কথা বলব না। এমনকি তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনির মঞ্চে এই ঘটনা নিয়ে কার্যত নিন্দায় ভরে গেছে চারদিক। স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেছেন, শাসকদলের এই ধরনের অশালীনতা দিনের পর দিন বাড়ছে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join