‘ওটা আদিনাথ মন্দির!’ মালদার আদিনা মসজিদের ছবি ছাড়ায় কটাক্ষের শিকার ইউসুফ পাঠান

Published:

Yusuf Pathan
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে রীতিমত একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। এমতাবস্থায় মালাদার ‘আদিনা মসজিদ’কে নিয়ে ফের রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হল। গত বছর আদিনা মসজিদে এসে বৃন্দাবনের সাধু হিরণ্ময় গোস্বামী দাবি করেছিলেন যে, আদিনা মসজিদ আসলে ‘আদিনাথ মন্দির’ ৷ যদিও এই মালদার এই মসজিদকে ঘিরে বিতর্ক নতুন নয়, বহু বছর ধরে এই বিতর্ক হয়েই চলেছে রাজ্য জুড়ে। তবে এবার সেই বিতর্কে নয়া সুর চড়ালেন তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান (Yusuf Pathan)।

ইউসুফ পাঠানের পোস্ট

সম্প্রতি বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠান তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে তাঁকে দেখা যায় মালদার আদিনা মসজিদ ভ্রমণ করতে। আর সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “ মালদার আদিনা মসজিদ হল একটি ঐতিহাসিক মসজিদ যা ইলিয়াস শাহী রাজবংশের দ্বিতীয় শাসক সুলতান সিকান্দার শাহ কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। ১৩৭৩-১৩৭৫ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত এই মসজিদ ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম মসজিদ ছিল, যা এই অঞ্চলের স্থাপত্যের জাঁকজমক প্রদর্শন করে।” আর এই পোস্ট আপলোড হতেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতেই শুরু হয় নেটিজেনদের কটাক্ষ।

কটাক্ষ নেটিজেনদের

একজন নেটিজেন বলেন, “আপনি হিন্দুদের অন্যতম বৃহৎ মন্দির, আদিনাথ মন্দিরের প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে আছেন, যা ইসলামিক লুঠকারীদের দ্বারা অপবিত্র ও দখল করা হয়েছিল। তবে এখন সেই মন্দিরের গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সময় এসেছে।” অপর আরেকজন বলেন, “তুমি মুসলিম হিসেবে প্রমাণ করে দিয়েছ যে তুমি ভারতের ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের আক্রমণকারীদের বংশধর, যারা কিনা মন্দিরগুলিকে মসজিদে পরিণত করেছে। তোমার লজ্জা হওয়া উচিত!” যদিও এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেনি।

আরও পড়ুন: সহপাঠীই নির্যাতিতার প্রেমিক! হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই প্রকাশ্যে এল তথ্য, বার্তা পুলিশের

প্রসঙ্গত, গত মাসে নিজের রাজ্য গুজরাটে জমি সংক্রান্ত আইনি বিপাকে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান। গুজরাট হাই কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে, বরোদা পুরসভার জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন ইউসুফ। তাই ওই জমি তাঁকে ফাঁকা করতে হবে। দরকার পড়ল পুরসভা বুলডোজার চালিয়ে ওই জমি খালি করাতে পারবে। শুধু তাই নয় ইউসুফকে ‘দখলদার’ তকমা দেওয়া হয়েছিল। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইউসুফ একজন জনপ্রতিনিধি এবং একই সঙ্গে সেলিব্রিটি। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের প্রভাব পড়ে সমাজের উপর। তাই তাঁর আইন মেনে চলা উচিত।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join