প্রীতি পোদ্দার, মুর্শিদাবাদ: নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)! সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের সম্পর্কের জেরে ভাঙড়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ! আর তারপরেই কীটনাশক খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় তোলপাড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়।
নাবালিকা ধর্ষণ মুর্শিদাবাদে!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ভাঙরের চন্দনেশ্বর থানার মৌলমুকুন্দ এলাকার বাসিন্দা বয়স ১৫। নারায়নপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী সে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই মুর্শিদাবাদে কীটনাশক খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা রেখসোনা খাতুন নামে এক তরুণীর সঙ্গে শাহানারার পরিচয় হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। গত ৯ অক্টোবর রেখসোনা তাকে মুর্শিদাবাদে ঘুরতে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায়। পরে গত ১১ অক্টোবর নির্যাতিতার পরিবার খবর পায় যে, তাঁদের মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রেফার করা হয় কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল দেহ
যদিও পরিবারের দাবি “ পরিকল্পনা করেই মুর্শিদাবাদে নিয়ে গিয়ে রেখসোনা ও আরও কয়েকজন যুবক মিলে তাঁদের মেয়েকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যেহেতু সে রাজি হয়নি, তাই তাকে মারধর করে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়া হয়।” চিৎকার গোলযোগ শুনে আশেপাশের স্থানীয়রা ছুটে আসে। ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে লালবাগ এস.ডি. হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভর্তি করানোর পরই রেখসোনা পালিয়ে যায় বলে দাবি পরিবারের। তবে সেক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা অবধি ওই রাতে আসলে কি হয়েছিল তা জানা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ করেই হানা দিল হাতির দল, ভর দুপুরে জলপাইগুড়িতে বিরল দৃশ্য
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে, ছ’বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল মুর্শিদাবাদের সূতি থানা এলাকায়। অভিযোগ, গ্রামে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময়ে শিশুকে এক ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত যুবক। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।