‘ছোবল মারতে সময় লাগবে না!’ চুঁচুড়ায় তুঙ্গে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব, রচনার বানে কাহিল অসিত

Published:

Hooghly
Follow

প্রীতি পোদ্দার, চুঁচুড়া: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই নির্বাচনকে ঘিরে উঠে পড়ে লেগেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বারংবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হচ্ছে। এমতাবস্থায় ফের প্রকাশ্যে উঠে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ! গতকাল সাংসদ তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া পুরসভায় শহর সভাপতির ডাকে বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত হন। কিন্তু উপস্থিত ছিলেন না চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। আর সেই নিয়ে শুরু হল বিরাট গুঞ্জন।

প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল চুঁচুড়া পুরসভার শহর সভাপতির তরফে৷ সেই সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সপ্তগ্রাম বিধায়ক তপন দাসগুপ্ত, চেয়ারম্যান অমিত রায় ও চুঁচুড়া বিধায়ক বিরোধী কাউন্সিলাররা। কিন্তু, উৎসবে এতজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও দেখা মেলেনি বিধায়ক অসিত মজুমদারের৷ ফলে রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও বিধায়কের দাবি, সাংসদের সঙ্গে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। কিন্তু তাতেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তবে কি স্কুলের স্মার্ট ক্লাসরুমের দ্বন্দ্ব এখনও কাটেনি?

শ্যামাপ্রসাদকে নিয়েও তৈরি হয় গুঞ্জন

এদিকে এদিন বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশ প্রশংসা করেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি কিনা বিধায়ক অসিম মজুমদার বিরোধী গোষ্ঠী এবং সপ্তগ্রাম বিধায়ক তপন দাশগুপ্তের ঘনিষ্ঠ। কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অসিত মজুমদারের দ্বন্দ্ব প্রকট হতেই শ্যামাপ্রসাদকে রচনার শিবিরে দেখা যাচ্ছে ঘন ঘন। অনেকে আবার এও বলছে যে রচনার জন্যই শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় চুঁচুড়া শহর সভাপতি হয়েছেন। তাই এবার সেই গুজব বা জল্পনা নিয়ে স্পষ্ট মন্তব্য করলেন রচনা।

কী বললেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়?

চুঁচুড়া শহর সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ডাকনাম ফণী। সাংসদ রচনা হাতে ফনা দেখিয়ে বলেন, “ওঁর সততা ওঁর কর্মদক্ষতা ওঁকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ না একজন ক্ষুদ্র মানুষ। সে কথা বললেই একজনকে কাউন্সিলর করে দেবে বিধায়ক করে দেবে সভাপতি করে দেবে তা হয়না। উনি কী সেটা আগামী পাঁচ বছর দেখিয়ে দেবেন তার জন্য রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগবে না। ওঁর নামের সঙ্গে ফণী আছে ছোবল মারতে সময় লাগবে না। যারা ওঁর দিকে হাত তুলছেন মনে রাখবেন ওঁর হাতে ফণী আছে।” এদিকে বিজয় সম্মেলন অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার কারণ হিসেবে বিধায়ক অসিত জানিয়েছেন তার অন্য কাজ ছিল সেদিন। কিন্তু এর মাঝেই আরও একটি বিশেষ কারণে অন্তর্বর্তী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে ৪০-র উপরে গাড়ি! ভিডিও পোস্ট করে মমতাকে মিথ্যেবাদী আখ্যা শুভেন্দুর

এদিন বিধায়ক অসিত মজুমদার জানিয়েছেন শহরের যে তোরণ বাধা হয়েছে সেখানে সবার ছবি থাকলেও একমাত্র তাঁর ছবি নেই। যদিও সভামঞ্চের ব্যানারে রচনা-অসিত দুজনের ছবিই ছিল। এদিকে রচনা এবং অসিতের মধ্যে যে অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ ৷ তিনি বলেন, “হুগলি সাংসদ ও চুঁচুড়া বিধায়কের সাপে নেউলের সম্পর্ক। কেউ কারও অনুষ্ঠানে যান না। এদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কারও অজানা নয়। বিধানসভা ভোটে এর জবাব মানুষ দিয়ে দেবে।” কিন্তু এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join