বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: 5 কিলোমিটার দূরে থাকা টার্গেট একেবারে নিখুঁতভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে নাগ এমকে 2 (Nag Mark II)। ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইং এর রিপোর্ট বলছে, ট্যাঙ্ক যতই উন্নত প্রযুক্তির হোক না কেন, তাকে গুঁড়িয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র নাগ। এবার সেই ক্ষেপণাস্ত্রই হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক থেকে সঠিকভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে পরীক্ষায় সফল হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটিই ভারতের জন্য বড় মাইলফলক।’
সার্বিক দিক থেকেই পরীক্ষায় সফল নাগ
রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্ধারিত লক্ষ্যে নির্ভুল নিশানা, উচ্চমানের আক্রমণ ক্ষমতা এমনকি পাল্লার দিক থেকেও সার্বিকভাবে একদিনের পরীক্ষায় সফল হয়েছে নাগ মার্ক 2। বলা বাহুল্য, এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে যে হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল সেটির গোটা নকশা তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা বা DRDO। এছাড়াও ট্যাঙ্কটি নির্মাণ করেছে লার্সন অ্যান্ড টুব্রো।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হল, এটি জটিলতা বিহীন ও সহজে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। রিপোর্ট বলছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যে কোনও জটিল অপারেশনে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করতে পারবে ভারতীয় সেনা। তাছাড়াও যুদ্ধের সময় প্রয়োজনীয় যে কোনও কাজে সেনাবাহিনীকে সাহায্য করবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক যুদ্ধে এই ক্ষেপণাস্ত্রের জুড়ি মেলা ভার!
DRDO-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
বিশেষ নকশার হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র নাগ মার্ক 2 নিক্ষেপ করার পর তা সফল হওয়ায় ইতিমধ্যেই ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা বা DRDO কে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। নাগের সফলতার মুহূর্তকে তিনি দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক গর্বের মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন।
অবশ্যই পড়ুন: রপ্তানিতে নতুন বাজার ধরতে মরিয়া ভারত, যোগি রাজ্যেই ব্রহ্মসের প্রথম ব্যাচ উদ্বোধন
উল্লেখ্য, ভারতের অস্ত্র ভান্ডারে ইতিমধ্যেই একাধিক উন্নত এবং অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যেগুলির মধ্যে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রটি অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছিল। পাক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে ড্রোনগুলিকে আকাশেই নিশ্চিহ্ন করতে একেবারে সিদ্ধহস্ত আকাশ। এবার সেই তালিকায় নাগের মতো উন্নত মানের ক্ষেপণাস্ত্র জুড়ে যাওয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তি কতটা বাড়ল, তা আন্দাজ করতে পারছেন অনেকেই।