‘নো কিংস’ স্লোগানে কাঁপছে আমেরিকা! ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পথে লক্ষ লক্ষ মানুষ

Published:

No King Protest in America
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধেই পথে নামল লক্ষ লক্ষ আমেরিকান। শনিবার দেশ জুড়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে ফেটে পড়েছে আমজনতা। লক্ষ লক্ষ মানুষ নেমেছিল পথে। রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে শুরু করে নিউইয়র্ক, শিকাগো, লস এঞ্জেলস প্রতিটি শহরেই দেখা গিয়েছে জন সমাবেশ। আর সেখানে একটাই স্লোগান উঠছে- ‘নো কিং’। (No Kings Protest in America)

কেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ?

আসলে দ্বিতীয়বার আমেরিকার সিংহাসনে বসার পর থেকে দেশটির শাসন ব্যবস্থায় একাধিক বদল নিয়ে এসেছে ট্রাম্প। অভিবাসীরা মূলত তাঁর নীতির বিরুদ্ধেই এবার সরব হয়েছে। প্রথমত, এইচ-১ ভিসার উপর মোটা অংকের মূল্য চাপিয়েছে মার্কেট প্রেসিডেন্ট। যার ফলে দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন ও তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলি দিনের মধ্যে ধুঁকছে। দ্বিতীয়ত, তাঁর শুল্কনীতির কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনেকটাই অবনতি ঘটেছে। এছাড়া দিনের পর দিন হু হু করে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।

তবে ট্রাম্প দাবি করছেন যে, তিনি আমেরিকানদের প্রাধান্য দিচ্ছেন। এমনকি অভিবাসীদের দেশ থেকে সরানো, ভিসা নীতি সবকিছুর নেপথ্যে আমেরিকান জনগণের স্বার্থেই লুকিয়ে রয়েছে। তবুও আমেরিকার একটি বড় অংশ তাঁর নীতির পক্ষপাতিত্ব করছে না। শনিবার বিক্ষোভের মাধ্যমে সেই ছবিই স্পষ্ট উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ দিন ধরেই আমেরিকায় শাটডাউন চলছে। অর্থের প্রভাবে প্রশাসনের একাধিক পরিষেবা বন্ধ হয়েছে। শুধুমাত্র আপাতকালীন পরিষেবাগুলি চালু রয়েছে। পাশাপাশি অনেক সরকারি কর্মীকে বেতন ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে। আর অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণা খাত দিনের পর দিন তলানিতে ঠেকছে। আর এই ঘটনাগুলি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের ক্ষোভ যে বাড়িয়ে দিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

পরিকল্পিতভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল কর্মসূচি

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের নীতিতে রুষ্ট মার্কিন জনতারা পরিকল্পিতভাবেই শনিবার বিক্ষোভের কর্মসূচি আয়োজন করেছিল বলে খবর। নাগরিক সংগঠন ‘নো কিংস’ স্লোগান দিয়ে পথ নেমেছিল। জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে মোটামুটি ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ আমেরিকার পথে পথে জড়ো হয়েছিল। এমনকি শুধু নিউ ইয়ার্কে ছিল লক্ষাধিক প্রতিবাদী। তাঁদের দাবি, ট্রাম্প যেভাবে সরকার চালাচ্ছেন, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেই সাধারণ নাগরিকদের এই বিক্ষোভ। এমনকি কর্মসূচির ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভাবেন, তাঁর রাজত্বই সর্বশ্রেষ্ঠ। তবে মনে রাখা উচিত, আমেরিকার কোনও রাজা নেই। আর আমরা কোনও দুর্নীতি মুখ বুজে সহ্য করব না।

আরও পড়ুনঃ মেয়েদের কাছে ঘেঁষতে পারবে না ধর্ষক, দুর্গাপুরের যুবক বানাল অভিনব বৈদ্যুতিক টিজার গান

এমনকি এক সরকারি আধিকারিক দাবি করছেন, “আমার মনে হচ্ছে ট্রাম্প আমাদের গণতন্ত্রটাকে নিজের করে নিচ্ছে। ধীরে ধীরে আমেরিকার প্রশাসন ব্যবস্থাকেই ভেঙে ফেলছে সে। আমরা প্রতিবাদ না করলে এটা কোনওভাবেই আটকানো যাবে না। এটাকেই গণতন্ত্র বলে। ঘৃণা নেই, কোনও ভয় নেই। আমরা গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্র মানুষকে রুখে দাঁড়াতে সাহায্য করে। আমরা চুপ করে সহ্য করব না।”

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join