প্রীতি পোদ্দার, বিধাননগর: সাতসকালে হামলাকাণ্ড বিধাননগরে! তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করল এক দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে দীপাবলির সকালে বিধাননগর (Bidhannagar) আইএনটিইউসি প্রেসিডেন্ট নির্মল দত্তের ওপরে গুলি চালানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। ঘটনার পিছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিধাননগরের তৃণমূল নেতাকে হত্যার চেষ্টা!
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ, কালীপুজোর সকালে বিধাননগর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের অফিসের সামনে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার এবং বিধাননগর INTUC প্রেসিডেন্ট নির্মল দত্তকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এক দুষ্কৃতী। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ নির্মল বাবু যখন দত্তাবাদের ওয়ার্ড অফিসে এসেছিলেন সেই সময় ওই দুষ্কৃতী আসে এবং তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরপর দুটি গুলি ছোড়ে, কিন্তু গুলিদুটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান প্রাক্তন কাউন্সিলর। এরপর দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় নির্মল দত্তের। সেই সময় বন্দুকের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ওই দুষ্কৃতী এবং সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেয় তাঁকে।
কী বলছেন আহত তৃণমূল নেতা?
অভিযুক্তের এই হামলার প্রসঙ্গে নির্মল দত্ত জানিয়েছেন যে, “ আজ সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ আমি বাইপাসে আসি কাজের তদারকি করতে। হঠাৎ গোলাপি রঙের জামা, মুখে মাস্ক পরা এক যুবক বন্দুক বের করে, প্রথম দুটো গুলি লাগেনি। তৃতীয়বার গুলি করার চেষ্টা করলে, তখন আমি ধরে ফেলি। আমার মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারে। পাড়ার লোকজন সেই সময় বেরিয়ে আসতেই বেঙ্গল কেমিক্যালসের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়।” এই হামলার ঘটনায় তিনি কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা জানতে চাওয়ায় তিনি স্পষ্ট জানান, “যারা দুষ্কৃতী তাদের কোনও জাত নেই। আমি কাউকে সন্দেহ করছি না। আমি কাজ করি, তাই হামলা করছে। ৮-৯ মাস আগেও এমন হামলা হয়েছিল।”
আরও পড়ুন: বিয়েতে বিনা নিমন্ত্রণে পুলিশ, গ্রেফতার পাত্র ও পুরোহিত! জলপাইগুড়ি আদলতে উঠল মামলা
এদিকে কালীপুজোর দিন সাত সকালে প্রকাশ্যে রাস্তায় এই ভয়ংকর গুলিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আতঙ্কিত গোটা এলাকার মানুষজন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। কে বা কারা এই হামলা করেছে তা জানার জন্য এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে আজ দত্তাবাদের যে পরিবর্তন করা হয়েছে সবটাই নাকি এই নির্মল দত্তের জন্য হয়েছে। আগে এই চত্বরে মদ-গাজার ঠেক বসত, এখন রাস্তাঘাট, আলো, জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, আর সেই কারণেই নাকি এই হামলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে।