‘স্মার্টফোন নেব না!’ সরকারের শর্ত দেখেই বেঁকে বসলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা

Published:

ICDS Workers
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী ডেটা এন্ট্রি ও উন্নততর পরিষেবার জন্য অ্যাক্রিডিটেড সোশ্যাল হেলথ অ্যাক্টিভিস্ট বা আশা কর্মীদের (ICDS Workers) জন্য স্মার্টফোনের ব্যবস্থা করতে চলেছে সরকার। তার জন্য ইতিমধ্যেই সকলের একাউন্টে পাঠানো হচ্ছে ১০ হাজার টাকা। কিন্তু সেই টাকা নিয়েও এবার বাঁধল গণ্ডগোল। প্রশাসনিক গাইডলাইন নিয়ে অনেকেই অমত প্রকাশ করেছেন। তাই সেই কারণে গত শনিবার বালুরঘাট ব্লকের (গ্রামীণ) চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার বা CDPO-র দ্বারস্থ হলেন সারা বাংলা অঙ্গনওয়াড়ি ও সহায়িকা কর্মী সমিতির জেলা নেতৃত্বরা।

গাইডলাইন নিয়ে শোরগোল

রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, স্মার্টফোন কেনার জন্য রাজ্যের প্রত্যেক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ১০ হাজার টাকা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তবে এই মোবাইল দেওয়ার ক্ষেত্রে আশা কর্মীদের দেওয়া হয়েছে একাধিক গাইডলাইন। বলা হয়েছে যে এই ফোন ব্যবহারকালীন সময়ে স্মার্টফোন ও সঙ্গে থাকা জিনিস যদি আশা কর্মীদের গাফিলতির কারণে চুরি হয় বা হারিয়ে যায়, তা হলে তার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্থির করবেন, তা আশা কর্মীরা দিতে বাধ্য থাকবে। আর এই গাইডলাইন প্রকাশ্যে আসতেই অঙ্গনওয়াড়ি ও সহায়িকা কর্মীদের মধ্যে তৈরি হল কোলাহল।

স্মার্টফোন না কেনার জন্য প্রতিবাদ

গত শনিবার প্রশাসনের এই গাইডলাইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গত শনিবার এ নিয়ে বালুরঘাট ব্লকের (গ্রামীণ) চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার বা CDPO-র দ্বারস্থ হলেন সারা বাংলা অঙ্গনওয়াড়ি ও সহায়িকা কর্মী সমিতির জেলা নেতৃত্বরা। সেখানে সম্পাদক ছায়া সেন স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, “ আমাদের কোনও সমস্যা নেই। এখানে যা লেখা হয়েছে, আমরা সমস্ত গাইডলাইন মেনেই চলব। কিন্তু এও লেখা হয়েছে, এই গাইডলাইনের কোনও কিছু লঙ্ঘন হলে আমাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেন আমরা কি চোর যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে? আমরা কি জেলে যাব? এই সব তো আমাদের মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তা হলে ১০ হাজার টাকার দরকার নেই।”

আরও পড়ুন: ‘২০৩৬ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী, জ্যোতি বসুর রেকর্ড ভাঙবেন মমতা!’ ভবিষ্যদ্বাণী কুণালের

এছাড়াও রাজ্য সরকারের দেওয়া ১০ হাজার টাকার স্মার্টফোনের গাইডলাইন নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি ও সহায়িকা কর্মী সমিতি আরও অভিযোগ করেছে যে, “১০ হাজার টাকা নিয়ে এত গাইডলাইন মেনে চলা সম্ভব নয়। এটা কারও পক্ষেই সম্ভব না। ছুটি মিটে গেলে আমরা CDPO-র সঙ্গে কথা বলব। মুখ্যমন্ত্রীকেও অনুরোধ করব, আমাদের জন্য গাইডলাইন একটু শিথিল করলে ১০ হাজার টাকা আমাদের পক্ষে নেওয়া সম্ভব। না হলে এত আইনি জটিলতায় এ টাকা নেওয়া সম্ভব না।” অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি ও সহায়িকা কর্মীদের অভিযোগ মিশ্রিত এই অনুরোধ প্রসঙ্গে CDPO মিঠুন বর্মন বলেন, ‘এইমুহুর্তে অন্য ব্যস্ততার মধ্যে আমাদের থাকতে হচ্ছে। পুজোর ছুটির পরে তাঁরা কী বলছেন, সেটা শোনা হবে।’

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join