বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: IFA শিল্ডের ফাইনালে মোহনবাগানের বিপক্ষে গোটা ম্যাচে দাপট দেখিয়ে শেষে টাইব্রেকারে হারতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। আর সেই পরাজয়ের পরই আঙুল উঠেছিল দুজনের দিকে। প্রথমজন ছিলেন পেনাল্টি শুট আউটে শট করে গোল না পাওয়া জয় গুপ্তা এবং দ্বিতীয়জন ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ অস্কার ব্রুজো। যদিও সম্প্রতি লাল হলুদ কোচ খোলসা করেছিলেন দেবজিৎকে নামানোটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তবে এই কাজ সহকারি কোচেদের পরামর্শ নিয়েই করেছিলেন তিনি। খোঁজ খোঁজ খোঁজ, জানা যায় দেবজিৎকে মাঠে নামাতে অস্কারকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দী। তারপরই ক্ষোভ বাড়ে লাল হলুদ ভক্তদের। আর সেই ঘটনার পর পরই এবার পদত্যাগ করলেন সন্দীপ (East Bengal Goalkeeper Coach Resigned)।
ইস্টবেঙ্গলে শুরু গৃহযুদ্ধ?
শনিবারের সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানের নির্ধারিত সময়ের ডার্বিতে ফয়সালা না হওয়ায় ম্যাচ গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। আর সেখানেই বড় ভুল করে বসে ইস্টবেঙ্গল। গোটা ম্যাচে একাধিক গোলরক্ষাকারী প্রভসুখন সিং গিলকে সরিয়ে দুর্গরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারকে মাঠে নামানো হয়। তাতে কোনও লাভ তো হয়ইনি, বরং লোকসানের খাতায় নাম লিখিয়েছে লাল হলুদ। এদিকে, জয় গুপ্তার গোল ঠেকিয়ে দেন বিশাল কাইথ। আর সেখানেই ভাগ্য জিতে নেয় মোহনবাগান। শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের হারের পর পূর্বে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা নিয়েই ক্ষোভ জাহির করতে থাকেন ভক্তরা।
বলা বাহুল্য, পরিস্থিতি ক্রমশ বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি নিজের ভুল স্বীকার করে নেন অস্কার। তবে তিনি স্পষ্ট জানান, ‘দেবজিৎকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। কিন্তু তাঁকে মাঠে নামানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন সহকারি কোচেরা।’ এরপরই দলের ব্যর্থতায় লাল হলুদ সমর্থকদের ক্ষোভের আগুন ক্রমশ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করে। শেষে জানা যায়, দেবজিৎ মজুমদারকে মাঠে নামানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দী। সূত্রের খবর, গোটা বিষয় প্রকাশ্যে আসার আগে থেকেই লাল হলুদের ঘরে তৈরি হয়েছিল অন্তরদ্বন্দ্ব। আর এসব কিছুকে সামনে রেখেই সোমবার গোলকিপার কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সন্দীপ।
অবশ্যই পড়ুন: খেলেছেন কোহলির নেতৃত্বে, অবসর ঘোষণা কাশ্মীরের ক্রিকেটার পারভেজ রসুলের
বেশ কয়েকটি সূত্রের খবর, সুপার কাপ খেলতে ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াডের সাথে গোয়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সন্দীপ নন্দী। সেখানেই নাকি গত ডার্বির সিদ্ধান্তের জন্য প্রধান কোচের কাছে ক্ষমা চান তিনি। তবে শোনা যায়, সন্দীপের ক্ষমা চাওয়ার পরও নাকি অস্কার পাল্টা চটে যান এবং তাঁকে অপমান করেন। সূত্রের যা দাবি, ওই অপমান সহ্য করতে না পেরেই প্রিয় দলের বড় পদ ছাড়লেন ইস্টবেঙ্গল অন্তপ্রাণ নন্দী।