প্রীতি পোদ্দার, উলুবেড়িয়া: কিছুদিন আগেই দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরও এক মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থার মুখে পড়তে হল। কালীপুজোর রাতে এই ঘটনার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উলুবেড়িয়া (Uluberia) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। শারীরিক নিগ্রহের পাশাপাশি তাঁকে ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি কী?
রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ সোমবার, কালীপুজোর রাতে উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়। রোগী দেখা নিয়ে শুরু হয় মহা শোরগোল। অভিযোগ ওঠে এক হোমগার্ডের বিরুদ্ধে, যে কিনা পুলিশের পরিচয় দিয়ে ওই মহিলা চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়। জানা গিয়েছে রোগী দেখাকে কেন্দ্র করে তাঁকে মারধরও করা হয় তার প্রতিবাদ করলে দেওয়া হয় ধর্ষণের হুমকি। এমতাবস্থায় তরুণীর অভিযোগ তাঁকে বাঁচানোর জন্য সেখানে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না, ডেকেও মেলেনি কোনো সাহায্য।
তদন্তের নির্দেশ পুলিশ সুপারের
এরপর এই হেনস্থার অভিযোগে পুলিশে খবর দেওয়া হলে উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসেন তারা। অভিযুক্ত ব্যক্তি তথা হোমগার্ডকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ধৃত মিথ্যে পরিচয় দিয়ে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে। শুধু তাই নয় মহিলা চিকিৎসকের গায়ে হাতও তুলেছে। আর সেই কারণে ফের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত চলছে। হাসপাতালের ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে আসল ঘটনা।
আরও পড়ুন: “৪ নভেম্বরের পর প্রকাশ্যে আনব একটা ভিডিয়ো!” বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল মুর্শিদাবাদে! সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের সম্পর্কের জেরে ভাঙড়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর তারপরেই কীটনাশক খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। প্রথমে অসুস্থ অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু পরে অবস্থার অবনতি হতে থাকায় তাকে রেফার করা হয় কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। হাসপাতালেই প্রাণ হারায় নবম শ্রেণীর নাবালিকা।