কলতলা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ! ময়নাগুড়িতে গৃহবধূর উপর পৈশাচিক অত্যাচার

Published:

Jalpaiguri
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের গণধর্ষণ এক গৃহবধূকে! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি এলাকায়। জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় এক গৃহবধূকে দলবেঁধে বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী তিনজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা কাউকে বললে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ জনকে। এদিকে ধর্ষণের মতো এই নৃশংস ঘটনায় উত্তাল ময়নাগুড়ির মানুষ, দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন সকলে।

ঘটনাটি কী?

স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গত শুক্রবার অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর, রাতে এক গৃহবধূ বাড়িতে একাই ছিলেন। তাঁর স্বামী হলেন একজন সবজি বিক্রেতা, কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য সে বাইরে ছিলেন। ওইদিন রাত প্রায় দশটা নাগাদ ওই গৃহবধূ উঠোনে কলের পাশে বসে বাসন মাজছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই তিন যুবক বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এরপর তারা ওই গৃহবধূকে জোর করে মুখ চেপে ঘরের ভিতরে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। এমনকি নির্যাতিতাকে এই বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। যার দরুন প্রাণের ভয়ে প্রথমে এই নৃশংস ঘটনার কথা কাউকে জানাতে পারেননি নির্যাতিতা। পরে সাহস সঞ্চয় করে তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ সরকারের কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলেন এবং তাঁর পরামর্শে এবং স্বামীর সহায়তায় গত রবিবার ময়নাগুড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।

গ্রেপ্তার ৩ অভিযুক্ত

নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর অভিযোগ, “ওরা আমাকে প্রচণ্ড মারধর করে, শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ে দেয়। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম। এখনও সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।” গ্রামের মহিলার সঙ্গে এমন পৈশাচিক অত্যাচারের মত ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ সরকার বলেন, “এটা ভীষণ নিন্দনীয় ও বর্বরোচিত ঘটনা। সমাজে এর কোনো স্থান নেই। প্রশাসনের উচিত দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা।” এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে ময়দানে নামে পুলিশ। প্রথমে গৌরাঙ্গ রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আরও দুই অভিযুক্ত বিষ্ণু রায় ও মিন্টু রায়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন: যার জন্য বাংলা, বাংলাদেশ ছাড়া! সেই আদর্শের কারণে কেরালায় সম্মানিত তসলিমা নাসরিন

গৃহবধূর এই গণধর্ষণ কাণ্ডে ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আরও দুই অভিযুক্ত ধরা পড়ে। অর্থাৎ এই ঘটনায় সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ধৃতদের গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়েছিল, সেখানে ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ইতিমধ্যেই, নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষার পাশাপাশি ফরেনসিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join