সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে আবারও তোলপাড় বাংলাদেশ (ISKCON Bangladesh)। ধর্ম বিরোধী কর্মকাণ্ড, হুমকি, অপহরণ, হত্যার অভিযোগে ইসকনের বিরুদ্ধে মিছিলে তোলপাড় ঢাকা সহ দেশের একাংশ। আর সেই প্রতিবাদেই এবার ইসকনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামল ওপার বাংলার ইসলামপন্থী সংগঠন তৌহিদী জনতা। এমনকি ইসকনের বিরুদ্ধে মিছিলে রাস্তায় নেমেছে ইন্তিফাদা বাংলাদেশ নামের এক সংগঠন। তাদের মূল দাবি একটাই, যে কোনও ভাবেই নিষিদ্ধ করতে হবে ইসকনকে।
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সরব জনতা
গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের গেটেই তারা এই সমাবেশ করে বলে খবর। এমনকি ওই সমাবেশ শেষে শাপলা চত্বরের দিকে মিছিল অগ্রসর হয়। পাশাপাশি ঢাকা সহ বেশ কিছু জায়গার মসজিদে জুমার খুতবায় ইসকনের বিরুদ্ধে তারা বক্তব্য রাখেন। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়ান সদস্য ড: মেহেদী হাসান সহ আহমেদ রফিক, ইসলামী বক্তা মোঃ জসিমউদ্দিন রহমানীও বক্তব্য রেখেছিলেন। আর তাদের একটাই বক্তব্য, যে কোনও ভাবেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি গাজীপুর ধর্ষণ মামলায় দ্রুত বিচার করতে হবে, এমনকি টঙ্গীতে ইমাম গুমের ঘটনায় দায়ীদের গ্রেফতার করতে হবে।
A protest has erupted at Dhaka University against the abduction of a mosque Imam by ISKCON
One of the key slogans raised was: “There will be no place for ISKCON in Bengal” pic.twitter.com/bCTxczhKtZ
— Jashim (@jashim4truth) October 23, 2025
বক্তব্যকারীদের মধ্যে ইন্তিফাদার নেতা ডক্টর মেহেদী হাসান বলেছেন, আমরা এখানে বিচারের দাবিতে এসেছি। সরকার ন্যায়বিচার করলেই আমরা শান্ত থাকব। তবে বর্তমানে আমরা বিচার নয়, বরং প্রহসন দেখছি। পাশাপাশি ইসলামি বক্তা মোঃ জসিমউদ্দিন রহমানী বলেছেন, ইসকন কোনও ধর্মীয় সংগঠন নয়, বরং এটি ইহুদি প্রভাবিত গোষ্ঠী। এরা একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছে।
এমনকি ওই সমাবেশে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মামুদ রানা বলেছেন, ইসকনের কাজ হওয়া উচিত ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা। তবে তারা হিন্দুত্ববাদী কার্ড খেলে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তারা বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশেই ইসকন নিষিদ্ধ। তাহলে বাংলাদেশের কেন নয়? ওরা মুসলমানদের নয়, বরং হিন্দুদেরও শত্রু। তারা মূলত মানবতার শত্রু। তাই অবিলম্বে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হোক।
আরও পড়ুনঃ ১১০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মান্থা’! কবে, কোথায় ল্যান্ডফল? জানাল IMD
গাজীপুর ধর্ষণ মামলার বিচারের দাবি
এদিকে শহীদ আলিফ হত্যা, গাজীপুর মসজিদের খতিবকে হত্যার চেষ্টা ও সারা দেশের মুসলিম মেয়েদেরকে টার্গেট করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সাথে ইসকনের জড়িত থাকার কারণেই প্রতিবাদে নেমেছে তারা। মূলত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই তারা সরব হয়েছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এই আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানকার বক্তারা বলেছেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ১৩ বছরের শিশু আশা মনিকে ধর্ষণ ও মসজিদ খতিবকে হত্যার চেষ্টা, এসবের সাথে ইসকনের জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের এডভোকেট আলিফকে হত্যা, টঙ্গীতে ইমামকে হত্যার চেষ্টা, সারাদেশে অসংখ্য মুসলিম মেয়েদের ধর্ষণের চেষ্টাতেও ইসকন জড়িত। তাই আমরা তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি।












