পঞ্চায়েত কর্মীদের দ্বিগুণ বেতন, সুদমুক্ত ৫ লক্ষ টাকা ঋণ! প্রতিশ্রুতি তেজস্বী যাদবের

Published:

Tejashwi Yadav
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় বিহার। রাজ্যের আগামী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) নাম প্রায় নিশ্চিত। তবে বিরোধী দলনেতা এবং মহাজোট সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান তেজস্বী যাদব নির্বাচনের আগেই এবার পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের বেতন দ্বিগুণ করার ঘোষণা করলেন। এমনকি পেনশন ও ৫০ লক্ষ টাকার বীমা প্রদান করবেন ও শ্রমিক শ্রেণীকে পাঁচ বছরের জন্য ৫ লক্ষ টাকা সুদমুক্ত ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

নির্বাচনের আগেই একাধিক প্রতিশ্রুতি

রবিবার আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী যাদব বলেন, রাজ্যের মানুষ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত এবং মহাজোট সরকার গঠন হতে চলেছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যের সকল স্তরে পঞ্চায়েত প্রতিনিধির সংখ্যা ২ লক্ষ ২৫ হাজার। বর্তমানে তাদের মাসিক ৫০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়। তবে তেজস্বী যাদবের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের বেতন দ্বিগুণ করা হবে।

এদিকে নাপিত, কামার, ছুঁতোর, কুমোরদেরও বিরাট সুখবর শোনালেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, এই সমস্ত জাতিগুলিকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হবে, যাতে তারা এই অর্থ দিয়ে ব্যবসা সরঞ্জাম কিনতে পারে এবং ব্যবসাকে বড় করতে পারে। তিনি বলেছেন, সরকার গঠনের পর তিনি বাগান মালিক বা সম জাতের পেশার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদেরও সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করবেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যের জনসংখ্যার ১.৪৫ শতাংশ ছুঁতোর, ১.৬৯ শতাংশ নাপিত, ১.৪০ শতাংশ কুমোর এবং ০.৬৩ শতাংশ কামার। আর এই চার জনগোষ্ঠী মিলিয়ে মোট জনসংখ্যার ৪.৯৭ শতাংশ। এদের জন্যই এবার সুখবর শোনালেন তেজস্বী যাদব।

এছাড়া তেজস্বী যাদব গণবণ্টন ব্যবস্থার দোকানদারদেরও কমিশন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মহাজোট সরকার গণবণ্টন ব্যবস্থার দোকানদারদেরও কমিশন বাড়াবে। বর্তমানে এই দোকানদাররা প্রতি কুইন্টালে ১৩৭ টাকা কমিশন পান। তবে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসলে তা আরও বাড়ানো হবে। এমনকি যদি কোনও পিডিএস দোকানদার মারা যায়, তাহলে তাদের উপর নির্ভরশীলদের কাছে দোকানটিকে হস্তান্তরের সর্বোচ্চ বয়স সীমা যেখানে এতদিন ৫৮ বছর ছিল, সেখানে তেজস্বী বয়সসীমা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত বাচ্চাদের এইচআইভি পজিটিভ রক্ত! ঝাড়খণ্ডে HIV+ ৫ শিশু

এদিকে গ্রাম আদালতের ক্ষমতা সম্প্রসারিত করা হবে বলে খবর। এর জন্য ২০০১ সালে রাবড়ি দেবীর সরকার কর্তৃক জারি করা একটি প্রস্তাবও বাস্তবায়ন করা হবে। এমনকি তিনি বলেছেন, বিহারের মানুষ তাদের ২০ বছর দিয়েছে, আর আমরা মাত্র ২০ মাস চাইছি। জনগণের প্রতি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস, এবার বিহারে পরিবর্তন ফিরে আসবে। আর সরকারও পরিবর্তন হবে। মহাজোট নতুন বিহার গড়ে তোলার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join