সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ফের শিরোনামে বলিউড অভিনেতা সালমান খান (Salman Khan)। এবার তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তান এতটাই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে যে শেষমেষ ‘ভাইজান’-কে জঙ্গি তকমা দিয়ে দিল। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন আচমকা অভিনেতাকে কেন জঙ্গি তকমা দিল পাকিস্তান? বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই আর্টিকেলটির ওপর।
সালমান খানকে জঙ্গি তকমা
সম্প্রতি সৌদি আরবে একটি অনুষ্ঠানে সলমান খান বেলুচিস্তানকে একটি পৃথক দেশ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। আর এতেই বেজায় চটেছে পাকিস্তান। অভিনেতার এহেন মন্তব্যের পর শাহবাজ শরিফ সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সলমানকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করে একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি অবধি জারি করেছে। খবর অনুসারে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তার নাম চতুর্থ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এই চতুর্থ তালিকায় খানের নাম অন্তর্ভুক্তির অর্থ হল তার উগ্র কার্যকলাপের জন্য তাকে নজরদারিতে রাখা হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সলমান খান বা তার কোনও প্রতিনিধির কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কী বলেছিলেন সলমান খান?
সৌদি আরবে এক ফোরামে ভাষণ দিতে গিয়ে সলমান খান বলেন, “বেলুচিস্তান, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মানুষ; সৌদি আরবে সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে।” আর এই বক্তব্য পাকিস্তানকে ক্ষুব্ধ করেছে। আসলে, বেলুচিস্তানে পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। ইতিমধ্যে বহু পাক সেনা বালোচ লিবারেল আর্মির হাতে মৃত্যু অবধি বরণ করেছে। এহেন ঘটনায় এমনিতেই বিপাকে আছে পাকিস্তান, তারওপর আগুনে ঘি ফেলার ন্যায় কাজ করেছে সলমান খানের মন্তব্য।
এদিকে পাকিস্তান ক্ষুব্ধ হলেও, বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা খুশি। তারা সলমান খানকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। তবে, সলমান খান কেবল আকস্মিকভাবে এই কথা বলেছেন নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে বেলুচিস্তানের কথা বলেছেন তা এখনও অজানা। উল্লেখ্য, বেলুচিস্তানে স্বাধীনতার আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এখানে প্রায়ই হিংসার ঘটনা ঘটে। বেলুচিস্তান প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ, কিন্তু এই অঞ্চলটি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। বিদ্রোহীরা প্রায়শই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বা অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। বেলুচিস্তান পাকিস্তানের ৪৬ শতাংশ জুড়ে, কিন্তু এর জনসংখ্যা মাত্র ১ কোটি ৫০ লক্ষ।












