বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ইজরায়েলের প্রতিবেশী জর্ডানের সিংহাসনে রয়েছেন রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তাঁর রানী রানিয়াকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই দুজনকেই একত্রে উদার ইসলামের মুখ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জর্ডানের রাজার পরিবার নিয়েও নেট নাগরিকদের মধ্যে কৌতুহল তুঙ্গে থাকে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, জর্ডানের রাজা এবং রানীর লাভ স্টোরি সম্পর্কে (Jordan Queen King Love Story)। আজকের প্রতিবেদনে রইল সেই তথ্য।
রাজা আবদুল্লাহ এবং রানী রানিয়ার লাভ স্টোরি
বায়োগ্রাফি ডট কমের রিপোর্ট অনুযায়ী, জর্ডানের রানী রানিয়া এবং রাজা আবদুল্লাহর আলাপ হয়েছিল এক ডিনার পার্টিতে। রানিয়ার বয়স তখন মাত্র 22 বছর। অন্যদিকে আবদুল্লাহ তখন 31 বছরের পুরুষ। সালটা 1993। সে বছর একটি ডিনার পার্টিতে নিমন্ত্রিত ছিলেন দুজনেই। সেখানেই আলাপ হয় রানিয়া এবং তাঁর স্বামী আবদুল্লাহর।
জানা যায়, নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রথম দেখাতেই একে অপরকে ভাল লেগে যায় রানিয়া এবং আবদুল্লাহর। এরপরই কথাবার্তা বাড়ে তাদের মধ্যে। মাঝেমধ্যেই একে অপরের সাথে দেখা করতে শুরু করেন তাঁরা। বাংলায় এক প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে, শুভস্য শীঘ্রম… হয়তো এই কথাটিকেই নিজেদের জীবনের মন্ত্র ভেবে নিয়েছিলেন তাঁরা। তাই প্রথম দু মাস একে অপরকে ডেট করার পরই 1993 সালের 10 জুন ধুমধাম করে জেহরান মহলে বিয়ে সারেন এই দম্পতি।
বেশ কয়েকবার ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে রানিয়া স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, একেবারে প্রথম দেখাতেই রাজা আবদুল্লাহকে পছন্দ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। এরপর থেকেই প্রেমের সাগরে ডুব দেন দুজনে। বলা বাহুল্য, 1999 সালে প্রথমবারের মতো উত্তরাধিকার সূত্রে জর্ডানের রাজা হন দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী হিসেবে জর্ডানের রাণী হয়ে যান রানিয়া। বলে রাখি, বর্তমানে এই দম্পতির চার সন্তান রয়েছে।
হিজাব পরেন না রানিয়া
ইসলাম ধর্মকে সম্মান করেন তিনি, ধর্মের প্রতি বিশ্বাসও রয়েছে তাঁর। তবে হিজাব পরতে পছন্দ করেন না রানিয়া। তাঁর মতে, ‘হিজাব পরা একজন মহিলার ব্যক্তিগত পছন্দ। ইসলাম কখনও মহিলাদের হিজাব পরার জন্য জোর করে না। নারীরা হিজাব পরবেন কি পরবেন না সেটা তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ। এতে কারোর হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’ জর্ডানের রানি হিজাব পরার ঘোর বিরোধী হলেও তিনি মনে করেন, ‘হিজাব পরার থেকে প্রার্থনা এবং ইসলামের প্রতি বিশ্বাস রাখাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ মূলত এমন মনোভাবের কারণেই গোটা বিশ্ব রানিয়াকে সম্মানের চোখে দেখে।
অবশ্যই পড়ুন: পলাতক জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর, জামাই আদার করবে ইউনূস সরকার
উল্লেখ্য, জর্ডানের বর্তমান রাজা অর্থাৎ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ কিন্তু নবী মহম্মদের বংশধর। তিনি আসলে নবীর 43 তম প্রজন্মের বংশধর। গোটা ইসলামী বিশ্ব জর্ডানের এই রাজাকে কার্যত উপর আল্লার চোখেই দেখেন।












