প্রীতি পোদ্দার, দুর্গাপুর: গত ১০ অক্টোবর রাতে সহপাঠী ছাত্রের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে দুর্গাপুর (Durgapur) বেসরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রী। আর ওই সময় রাতের অন্ধকারে তিনি নির্যাতনের শিকার হন। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া গ্রামের পাঁচ যুবককে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাদ যায়নি নির্যাতিতার সহপাঠী ছাত্র। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এমতাবস্থায় গতকাল অভিযুক্তদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করানো হয়েছে।
ফের চারদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ
জানা গিয়েছে, এদিন দুর্গাপুরের নির্যাতিতার আইনজীবী পার্থ ঘোষ টিআই প্যারেডের রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, নির্যাতিতা ৫ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে। শুধু তাই নয় ওইদিন রাতে যে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করেছে তার নামও জানানো হয়েছে। বিচারকের সামনেও সেই রিপোর্ট তুলে ধরা হয়। এরপর ভার্চুয়ালি মাধ্যমে বিচারক জানান, ‘অভিযুক্তদের কিছু বলার আছে কি?’ তখনই ধৃতরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করে জামিনের আর্জি জানান। কিন্তু সেই আর্জি দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক শুভ্রকান্তি ধর সঙ্গে সঙ্গেই নাকচ করে দেন। এবং ওই ছাত্রীর সহপাঠী ওয়াসেফ আলি-সহ অভিযুক্ত পাঁচজনকে ফের চারদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন তিনি।
কী জানিয়েছেন বিচারক?
বিচারক শুভ্রকান্তি ধর এদিন দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনায় বলেন, “যেহেতু কেউ সরকারিভাবে জামিনের আবেদন করছেন না, তাই সবার ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল। চার্জশিট তাড়াতাড়ি জমা পড়লে অভিযুক্ত ও নির্যাতিতাকে তার কপি দিতে হবে। নির্যাতিতা আইনি সহায়তা যেন পান। এই মামলার তাড়াতাড়ি বিচার প্রক্রিয়া শুরু হোক। তাই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হচ্ছে আগামী ৩১ অক্টোবর।” এদিকে সোমবার নির্যাতিতার আইনজীবী পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত ধৃত প্রথম তিন জনের এক জন। তাঁর নাম আদালতে জানিয়ে আইনজীবী বলেন, ‘‘সে-ই ধর্ষণ করেছে। বাকি পাঁচ জন কোনও না কোনও ভাবে যুক্ত ছিল।’’
আরও পড়ুন: বর্ধমান হাসপাতাল চত্বরে রোগীর মেয়ের শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার ওয়ার্ডবয়
উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাৎ সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে ধর্ষণ কাণ্ডের মামলায় ৬ অভিযুক্তদের তোলার কথা ছিল। কিন্তু এদিন ছটপুজো উপলক্ষে দুর্গাপুর আদালতে কর্মবিরতি থাকায় ভার্চুয়ালি জেল থেকেই অভিযুক্তদের বিচারকের সামনে উপস্থিত করানো হয়েছিল। এবং সেই শুনানিতেই টিআই প্যারেডের রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল। তবে তদন্ত এখনই শেষ হচ্ছে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও একাধিক তথ্য খুঁটিয়ে বের করার চেষ্টা চলছে।












